ajbarta24@gmail.com বৃহঃস্পতিবার, ৩ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১

নাইজেরিয়া ও ইথিওপিয়ায় ১৩ লাখ শিশু ভয়াবহ ঝুঁকিতে

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৫:০৩ পিএম

ফাইল ছবি

ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়ায় তীব্র অপুষ্টির শিকার শিশুদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত জীবনরক্ষাকারী খাদ্যের মজুদ আগামী দুই মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। চলমান পরিস্থিতিতে ভয়াবহ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে ১০ লাখেরও বেশি শিশু।

এ সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটি জানিয়েছে, দ্রুত নতুন তহবিল না এলে খাদ্যসহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে না তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিদেশে সহায়তা কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত এ সংকটের অন্যতম কারণ। খবর রয়টার্সের।

ইউনিসেফ বলেছে, চলতি বছরে ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়ায় তীব্র অপুষ্টিতে ভোগা প্রায় ১৩ লাখ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু জীবনরক্ষাকারী সহায়তা না পাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক কিটি ভ্যান ডার হেইডেন গত শুক্রবার বলেন, ‘নতুন তহবিল না পেলে মে মাসের মধ্যেই আমাদের বিশেষ রেডি-টু-ইউজ থেরাপিউটিক ফুডের মজুদ শেষ হয়ে যাবে। এতে ইথিওপিয়ায় প্রায় ৭০ হাজার শিশু ঝুঁকিতে পড়বে। মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেলে তা শিশুর জীবনহানির কারণও হতে পারে।’

ইউনিসেফ জানিয়েছে, নাইজেরিয়ায় চলতি মাসের শেষ নাগাদ ৮০ হাজার শিশুর জন্য খাদ্যের মজুদ শেষ হয়ে যেতে পারে। সম্প্রতি ভ্যান ডার হেইডেন নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মাইদুগুরির একটি হাসপাতালে যান, যেখানে তিনি এমন একটি শিশুকে দেখেন যার অপুষ্টিজনিত কারণে ত্বক খসে পড়ছিল।

গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক দাতারা ইউনিসেফসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সব বিদেশী সহায়তা ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করে। এতে ইউনিসেফের অর্থসংকট আরো বেড়ে যায়।

ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত ও পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক আন্তর্জাতিক সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ হওয়য় জীবনরক্ষাকারী খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে।

ভ্যান ডার হেইডেন সতর্ক করে বলেন, ‘এ অর্থসংকট শিশুদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে বড় সংকটে পরিণত হতে পারে। সহায়তা হঠাৎ করে বন্ধ হওয়ায় সংস্থার পক্ষে ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়নি।’

ইথিওপিয়ায় গর্ভবতী নারী ও শিশুদের জন্য পুষ্টি ও ম্যালেরিয়া চিকিৎসা প্রদানকারী স্বাস্থ্য কর্মসূচিগুলোও অর্থসংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউনিসেফের তথ্যানুযায়ী, আফার অঞ্চলে অর্থাভাবে ২৩টি মোবাইল স্বাস্থ্য ক্লিনিক বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে মাত্র সাতটি ক্লিনিক চালু রয়েছে।

সোর্স: বণিক বার্তা

 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর