ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে একটি গোপন আলোচনা ফাঁস হয়েছে। এনক্রিপ্টেড চ্যাট অ্যাপ ‘সিগনাল’-এ যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েমেনে সামরিক হামলার পরিকল্পনা নিয়ে একটি আলোচনার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
সোমবার মার্কিন গণমাধ্যম আটালান্টিকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। বিষয়টি বিস্তারিত তুলে ধরেন সাংবাদিক জেফারি গোল্ডবার্গ। তার তথ্য মতে, গত ১১ মার্চ ন্যাশনাল সিকিউউরিটি এডভাইসার মাইক ওয়াল্টজ তাকে বার্তা আদান-প্রদান অ্যাাপ সিগন্যালে একটি কানেকশন রিকুয়েস্ট পাঠান। শুরুতে তিনি এটিকে ভুয়া মনে করলেও পরে বুঝতে পারেন, ভুলক্রমে তাকে সেই চ্যাট গ্রুপে যুক্ত করা হয়েছে।
১৮ জন সদস্যের সেই গ্রুপ চ্যাটের নাম 'হুথি পিসি স্মল গ্রুপ'। অর্থাৎ হুথিদের ওপর কিভাবে হামলা চালানো হবে সে বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয় এই গ্রুপে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পরাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথ, গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সহ ট্রাম্প প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এই গ্রুপে যুক্ত ছিলেন। যেখানে নিয়মিত মেসেজ দিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু এই ব্যক্তিগুলো আসল নাকি ভুয়া সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারছিলেননা গোল্ডবার্গ।
এক পর্যায়ে পিট হেগসেথ হুথিদের ওপর কিভাবে হামলা করা হবে ও কারা সেটি পরিচালনা করবে সে বিষয়ে একটি বার্তা দেন। হেগসেথ যেভাবে বার্তা দেন একদম সেভাবেই ইয়েমেনে হামলা পরিচালনা করা হয়। এরপরই গ্রুপটির ব্যাপারে সন্দেহ কেটে যায় গোল্ডবার্গের। নিজের প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের নাম ও মেসেজ প্রকাশ্যে আনেন তিনি।
পূর্বে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে কাজ করার কারণে দেশটির অনেক সাংবাদিকের সাথেই সখ্যতা রয়েছে ডিফেন্স সেক্রেটারি পিট হেগসেথের। ফলে এর পেছনে তাকেই দায়ী করছেন অনেকে। যদিও নিজের সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে পুরো ঘটনাকে প্রতারণামূলক আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় রীতিমত আতংক ছড়িয়ে পড়েছে হোয়াইট হাউসে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাট আইন প্রণেতারা। কেন নিরাপদ সরকারি চ্যানেলের পরিবর্তে বাণিজ্যিক মেসেজিং অ্যাপে অত্যন্ত গোপন তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে, সে বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।
তবে এ বিষয়ে খুব একটা বিচলিত হননি মার্কিন প্রেসেডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হেগসেথের সুরে সুর মিলিয়ে সেই পত্রিকা আর সাংবাদিককেই দোষারোপ করেছেন তিনি।
সোর্স: বাংলাভিশন
মন্তব্য করুন: