আবারও গাজায় হামলা শুরু করার হুমকি দিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যদি শনিবার জিম্মিদের মুক্তি দেয়া না হয় তাহলে যুদ্ধবিরতি শেষ হবে এবং পুনরায় হামলা শুরু হবে। তার এই বক্তব্যের পর গাজায় পুনরায় ইসরাইলের আগ্রাসন শুরু হওয়ার আশঙ্কা ঘনিভূত হয়েছে।
এর আগে যুদ্ধবিরতির শর্ত পূরণ করা হচ্ছে না বলে ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনাতকামী সংগঠন হামাস। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটি আগামী শনিবার তিন জিম্মির মুক্তি স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। তাদের এই ঘোষণার পরই গাজাবাসীর ওপর ফের ভয়াবহ হামলার হুমকি দিলেন নেতানিয়াহু।
এছাড়া সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও ইসরাইলের পক্ষ নিয়ে আগুনে ঘি ঢেলেছেন। তিনি বলেছেন, শনিবার দুপুরের আগে গাজায় আটক সকল জিম্মিকে মুক্তি না দিলে হামাসের ওপর নরকের শাস্তি নেমে আসবে। যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায় শেষ না হতেই ইসরাইল এবং তাদের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের এমন ভোল পাল্টানোয় পুনরায় যুদ্ধের আতঙ্কে পড়েছে গাজার লাখ লাখ নিরীহ মানুষ।
অনলাইন বিবিসি বলছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন, যদি শনিবার দুপুরের মধ্যে ইসরাইলি জিম্মিদের ফিরিয়ে দেয়া না হয় তাহলে গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করবে ইসরাইল। এরপর সেখানে পুনরায় তীব্র হামলা শুরু করা হবে। হামাসের জিম্মি মুক্তি স্থগিতাদেশ দেয়ার পরপরই গাজার ভেতরে এবং আশপাশে ইসরাইলি বাহিনীকে জড়ো হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেতানিয়াহু।
তবে হামাস জানিয়েছিল জিম্মি মুক্তির স্থগিতাদেশ চূড়ান্ত নয়। ইসরাইল চাইলে মুক্তির জন্য দরজা খোলা থাকবে। তবে এক্ষেত্রে তারা যুদ্ধবিরতির শর্ত মেনে সামনে আগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। মিডিয়ার খবর অনুযায়ী এখনও ৭৬ জন জিম্মি গাজায় আটক রয়েছেন। নেতানিয়াহুর দেয়া হুমকিতে তিনি কি সকল জিম্মির মুক্তির কথা বলেছেন- তা স্পষ্ট নয়। নাকি শনিবার চুক্তি অনুযায়ী যে তিন জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা তাদের কথা বলেছেন? তবে ইসরাইলের এক মন্ত্রী বলেছেন, নেতানিয়াহু সকল জিম্মি মুক্তির বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করেছেন। এর আগে ট্রম্পও এ কথাই বলেছেন। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সকল জিম্মিকে মুক্তি না দিলে হামাসের ওপর নরকের শাস্তি নেমে আসবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
নেতানিয়াহুর ওই বক্তব্যের পর হামাস তাদের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির সকল চুক্তি রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এর ব্যত্যয় ঘটলে তার জন্য ইসরাইল দায়ী। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ওই সশস্ত্র সংগঠন। হামাসের অভিযোগ হচ্ছে- চুক্তি অনুযায়ী গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরাইল। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসরাইল।
সোর্স: মানবজমিন
মন্তব্য করুন: