খান ইউনিস; বৃহস্পতিবার রাত। আল-সাওয়াফিরি রেস্তোরাঁর ব্যবসা ভালো চলছে। খুব বেশি দূরে নয়, পুরো ব্লক ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, কিন্তু এখানে, দক্ষিণ গাজা উপত্যকার শহরের এই ছোট্ট কোণে, ক্ষতির পরিমাণ কম।
মালিক ও ব্যবস্থাপক রায়েদ আল-সাওয়াফিরি আগুনে গ্রিলের ওপর মুরগি পোড়াচ্ছেন আর দাঁড়িয়ে হাসছেন। কারণ- তার রেস্তোরাঁর প্রতিটি প্লাস্টিকের টেবিলে লোক রয়েছে। এতোদিন যুদ্ধ-বোমা বর্ষণ-রক্ত-কান্না সব দেখতে দেখতে বড়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। অবশেষে, নিজ শহরের লোকদের খাবার খাইয়ে সেবা দিতে পেরে বেশ আনন্দিত তিনি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আল-সাওয়াফিরির পূর্বে রেস্তোরাঁ ব্যবসার কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। গাজায় ১৬ মাস ধরে চলা সংঘাতের সময় ১০ বার বাস্তুচ্যুত হয়ে, ২৩ বছর বয়সী এই যুবক এই বছরের শুরুতে পুরোনো সরঞ্জাম সংগ্রহ করে। এরপর তার বাবাকে মাংস কিনতে মিশরের সীমান্তে পাঠান তিনি।
দক্ষিণতম শহর রাফায় প্রথম রেস্তোরাঁ খুলেছেন তিনি। তবে ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে পালিয়ে উপকূলে যেতে হয়েছিলো তাকে। য়োজনীয় সরঞ্জামগুলো পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘মানুষের কাছ থেকে সাড়া অসাধারণ ছিলো। রাফা ছাড়ার পর অবশেষে আমি খান ইউনিসে আবার চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ঈশ্বরের করুণায় আমরা সফল হয়েছি।’
মন্তব্য করুন: