বিশ্বের সুপারকারপ্রেমীদের জন্য সময়টা রোমাঞ্চকর। কারণ দুই কিংবদন্তি ইতালিয়ান ব্র্যান্ড ফেরারি ও ল্যাম্বরগিনি তাদের বৈশ্বিক পরিচিতির কেন্দ্রে থাকা গর্জনধ্বনি ও দুর্দান্ত গতি ধরে রেখেই হাইব্রিড প্রযুক্তিকে আলিঙ্গন করছে।
পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিকে বিশ্বের ঝুঁকে পড়া, কঠোর নির্গমন নীতিমালা এবং বাজারের পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে এই দুই সুপারকার নির্মাতা গ্রহণ করেছে নতুন কৌশল।
ফেরারির নতুন দিগন্ত
ফেরারি সম্প্রতি উন্মোচন করেছে তাদের ২৯৬ স্পেশিয়াল মডেল, যা একটি সীমিত সংস্করণের প্লাগ-ইন হাইব্রিড সুপারকার। এতে রয়েছে ৩.০ লিটার ভি৬ ইঞ্জিন এবং একটি শক্তিশালী ই-ড্রাইভ সিস্টেম। সম্মিলিতভাবে এটি ৮৬৮ হর্সপাওয়ার শক্তি উৎপাদন করে।
শুধু গতি নয়, এটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন পরিবেশে কম কার্বন নিঃসরণ করে এবং একই সঙ্গে ট্র্যাকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্সও দেয়। ২০২৫ সালের অক্টোবরে ফেরারি উন্মোচন করবে তাদের প্রথম সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি ‘ফেরারি ইলেট্ট্রিকা’। এটি হবে ঐতিহ্য ও আধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনের অনন্য নিদর্শন।
ল্যাম্বরগিনির লাফ অন্যদিকে ল্যাম্বরগিনি বাজারে এনেছে তাদের প্রথম হাইব্রিড ফ্ল্যাগশিপ মডেল ‘রেভুয়েলতো’। ৬.৫ লিটার ভি১২ ইঞ্জিন ও তিনটি ইলেকট্রিক মোটরের সমন্বয়ে এটি দিতে পারে ১,০০১ হর্স পাওয়ারের দুরন্ত পারফরম্যান্স। একইসঙ্গে তারা উরাস সি নামে আরেকটি হাইব্রিড এসইউভি বাজারে এনেছে, যা কোম্পানির রাজস্বে এক তৃতীয়াংশেরও বেশি প্রবৃদ্ধি এনেছে। তবে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে ল্যাম্বরগিনির দৃষ্টিভঙ্গি খানিকটা ভিন্ন। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ২০২৯ সালের আগে তারা পুরোপুরি বৈদ্যুতিক মডেল বাজারে আনবে না। তাদের মতে, বিলাসবহুল গাড়ির ক্রেতারা এখনো পুরোপুরি ইভি ব্যবস্থায় অভ্যস্ত নয়।
বিশ্লেষক যা বলছেন
ফেরারি ও ল্যাম্বরগিনির মতো ব্র্যান্ডের হাইব্রিডে যাত্রা শুধু প্রযুক্তিগত নয়, এটি একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। তারা দেখিয়ে দিচ্ছে, বিলাস ও গতি বজায় রেখেও পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব বলে মনে করেন অটোমোবাইল বিশেসজ্ঞরা। এটি ভবিষ্যৎ সুপারকার ডিজাইনের মানদণ্ড নির্ধারণ করবে।
সোর্স: যুগান্তর
মন্তব্য করুন: