ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন রেকর্ডের রাজপুত্র। কতশত রেকর্ড যে চুমু খেয়েছে তার পায়ে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে সিআর সেভেনের একটি রেকর্ড নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। তার সেই রেকর্ডটা গোল স্কোরিংয়ের। এই কীর্তিতে তার ধারে-কাছেও কেউ নেই। জাতীয় দল ও পেশাদার ক্লাব ক্যারিয়ার মিলে পর্তুগিজ মহাতারকার গোল এখন ৯৩১। ১০০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছানোর স্বপ্ন নিয়ে ছুটে চলেছেন রোনালদো।
মাঠের বাইরেও একটি জায়গায় এগিয়ে সবার চেয়ে। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড এখন পাঁচবারের এ ব্যালন ডি’অর জয়ী। পর্তুগিজ ইনস্টিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের (আইপিএএম) গবেষণা থেকে জানা গেছে এমনটা।
চলতি বছর রোনালদো ব্র্যান্ডের দাম ৮৫ কোটি ইউরো। ২০২০ সালের পর পর্তুগিজ লিজেন্ডের ব্র্যান্ডের দাম বেড়েছে ৩২৫ শতাংশ। আইপিএএমের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। ২০১১ সালে রোনালদো ব্র্যান্ডের মূল্য ছিল ২ কোটি ৪৫ লাখ ইউরো। ‘স্পোর্টস রেপুটেশন’ ইনডেক্সের মাধ্যমে করা এ গবেষণা থেকে জানা গেছে, গত ১৪ বছরে কিংবদন্তি রোনালদো নিজের ব্র্যান্ডমূল্যকে শতকোটির দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন।
আইপিএএম বলছে, সৌদি ক্লাব আল নাসরে রোনালদো বার্ষিক বেতন পান ২০ কোটি ইউরো। নাইকি, ট্যাগ হিউয়ের ও লুইস ভুইতনের মতো বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ডের সঙ্গে স্পন্সর চুক্তি থেকে আয় করেন ১৫ কোটি ইউরো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অনুসারীর মালিকও রোনালদো- ১০০ কোটির অধিক। শুধু ইনস্টাগ্রামেই তার অনুসারী রয়েছে ৬৪ কোটি ৮০ লাখ।
রোনালদোর রয়েছে হোটেল, লাইফস্টাইল (আন্ডারওয়্যার, জুতা, পারফিউম), রেস্তোরাঁ, চুলের ক্লিনিক, জিম-ফিটনেস, ব্যক্তিগত জেট সার্ভিস, ঘড়ি, পোর্সেলিন ও সিরামিকস ব্যবসা। সম্প্রতি জড়িয়েছেন সিনেমা নির্মাণে।
বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে রোনালদোকে নিয়ে বছরে কম করে হলেও ২ কোটি ২৩ লাখ প্রতিবেদন লেখা হয়। সার্চ ইঞ্জিন গুগলে বছরে ১৮ কোটি ৭০ লাখ বার তার নাম দিয়ে সার্চ করেন ভক্ত-সমর্থকরা। রোনালদোকে নিয়ে লেখা শুধু অ্যামাজনেই পাওয়া যায় চার হাজার বই। আর বিজ্ঞানভিত্তিক ৬৩ হাজার নিবন্ধে লেখা হয়েছে তার নাম।
সোর্স: আমার দেশ
মন্তব্য করুন: