ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই টি২০ ক্রিকেটে ডুব দিয়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। লিটন কুমার দাসরা ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে দেশের মানুষকে আনন্দে ভাসিয়েছেন। ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের মধ্যে সাড়া ফেলেছে এনসিএল টি২০ লিগ। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ টি২০ লিগ ছিল খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, সমর্থকদের সবার জন্য গা গরম করে নেওয়া। বিপিএলের শুরু থেকেই যাতে করে উত্তাপ ছড়াতে পারে। দেশের ক্রিকেট পুরোপ
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই টি২০ ক্রিকেটে ডুব দিয়েছেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। লিটন কুমার দাসরা ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে দেশের মানুষকে আনন্দে ভাসিয়েছেন। ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফের মধ্যে সাড়া ফেলেছে এনসিএল টি২০ লিগ।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এ টি২০ লিগ ছিল খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, সমর্থকদের সবার জন্য গা গরম করে নেওয়া। বিপিএলের শুরু থেকেই যাতে করে উত্তাপ ছড়াতে পারে। দেশের ক্রিকেট পুরোপুরি বিপিএলে ডুবে গেছে এখন। যদিও ২৩ ডিসেম্বর মিরপুরের কনসার্ট দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি এ লিগের আগমনী বার্তা গেছে দেশ-বিদেশে।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি কাওয়ালি শিল্পী ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলি খান মাতিয়ে গেছেন মিরপুর। সিলেটের কনসার্টে জেমস ছিলেন মূল আকর্ষণ। আজ চট্টগ্রাম দিয়ে শেষ হবে বিপিএলের কনসার্ট বিনোদন। কাল থেকে বিসিবি কর্মকর্তারা পুরো মনোযোগ ঢেলে দেবেন খেলার মাঠে। কারণ, ৩০ ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএলের একাদশ আসরের খেলা।
বিপিএলের এবারের আসরকে একটু আলাদা করে দেখা হচ্ছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেশের এ টি২০ লিগকে ঘোষণা করা হয়েছে তারুণ্যের উৎসব হিসেবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের খেলা শুরুর আগে সংস্কার করা হয়েছে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের ক্রিকেট ভেন্যু। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের গ্যালারির ভাঙা চেয়ারের জায়গায় লেগেছে নতুন চেয়ার। জায়ান্ট স্ক্রিন প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। রঙের ছোঁয়া লেগেছে স্টেডিয়ামের দেয়ালজুড়ে। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজও শেষ। ঢাকার বাইরের দুই ভেন্যুগুলোও বিপিএলের দলকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত।
বিসিবি থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জানানো হয়েছে, সাত বিভাগে হবে ট্রফি ট্যুর। এ ধরনের উদ্যোগ দেশে প্রথম। নিরাপত্তার দিক থেকেও ২০২৫ সালের বিপিএলকে আলাদাভাবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য যেটা বেশি স্বস্তির। পঁচিশের বিপিএলের বড় আকর্ষণ বিদেশি ক্রিকেটার। টুর্নামেন্টের প্রথম থেকেই বিশ্বমানের তারকা ক্রিকেটার থাকছেন মাঠে।
চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারে ঠাসা। তামিম ইকবালের নেতৃত্বে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম, তাওহীদ হৃদয়দের সঙ্গে একঝাঁক বিদেশি তারকাকে দলে নিয়েছে তারা। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদির গতকাল রাতেই ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। মোহাম্মদ নবি, ফাহিম আশরাফ যোগ দিয়েছেন আগেই। খান জাহানদাদ, মোহাম্মদ আলি, কাইল মায়ার্সদের আজ বরিশালের অনুশীলনে যোগ দেওয়ার কথা।
ঢাকা ক্যাপিটালস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, খুলনা টাইগার্সেও বিদেশি ক্রিকেটার আসতে শুরু করেছেন। গত বিপিএলের মতো এ মৌসুমেও সর্বনিম্ন দুই আর সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলাতে পারবে একটি দল। তবে দেশি ক্রিকেটার বাড়িয়ে ১৪ থেকে ১৫ জনে উন্নীত করা হয়েছে। বেশির ভাগ ফ্র্যাঞ্চাইজি অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে ক্রিকেটার নিচ্ছে। তারুণ্যের উৎসবে বিপিএলের ২২ গজেও তরুণরা ভালো খেলা উপহার দেবেন বলে আশা আয়োজকদের। সবচেয়ে বড় প্রত্যাশা টুর্নামেন্টের শুরু থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ক্রিকেট দেখতে চাওয়া। কারণ, টি২০ খেলার মধ্যেই ছিলেন ক্রিকেটাররা।
মন্তব্য করুন: