গাজায় মানবিক সংকটময় অবস্থা নিরসনের জন্য বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্সের নিচে চাপা পড়ে ১৫ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি কিশোর প্রাণ হারিয়েছে। ১০ আগস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ আগস্ট মধ্য গাজার নেটজারিম করিডোরের কাছে আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণের প্যাকেট সরাসরি মুহান্নাদ জাকারিয়া ঈদের ওপর পড়ে। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার পর স্থানীয়রা মুন্নাহাদের দেহ ঘিরে রেখেছে এবং তারা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এরপর তার ভাই তাকে কাঁধে করে নিয়ে যায়।
অন্য একটি ফুটেজে দেখা যায়, নুসাইরাতের আল-আওদা হাসপাতালে মুন্নাহাদের বাবা মরদেহ ধরে কাঁদছেন। নিহত কিশোরের ভাই রয়টার্সকে বলেন, ‘ক্ষুধার তাড়নায় আমার ভাই ত্রাণ নিতে গিয়েছিল কিন্তু বিমান থেকে ফেলা ত্রাণের বাক্স সরাসরি তার ওপর পড়ে এবং সে শহীদ হয়।’
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘তারা ক্রসিং দিয়ে সাহায্য করতে পারে না বরং তারা আমাদের উপর দিয়ে সাহায্য ফেলে দেয় এবং আমাদের বাচ্চাদের হত্যা করে। কেউ আমাদের অনুভব করে না, আমাদের সাহায্যের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট।
এ ঘটনার পর আকাশ থেকে ত্রাণ বিতরণের কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বারবার সতর্ক করে দেয়ার পর সবশেষ এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। জাতিসংঘ বলছে, বিমান থেকে ফেলা বাক্সগুলো বিপজ্জনক, অকার্যকর এবং ব্যয়বহুল। এজন্য তারা স্থলপথে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদানের অনুমতির জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সোর্স: চ্যানেল২৪
মন্তব্য করুন: