ভ্যাটিকানের সিস্টাইন চ্যাপেলের চিমনি দিয়ে সাদা ধোঁয়া উঠলে সমবেত জনতা স্লোগান দিতে থাকে ‘ভিভা ইল পাপা’—‘পোপ দীর্ঘজীবী হোন’।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে উপস্থিত হাজারও মানুষের সামনে পোপ ফ্রান্সিসের উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করা হয় রবার্ট প্রভোস্টের নাম, যিনি এখন থেকে ‘পোপ লিও চতুর্দশ’ হিসাবে পরিচিত হবেন। ৬৯ বছর বয়সী প্রিভোস্ট ক্যাথলিক চার্চের ২৬৭তম পোপ নির্বাচিত হলেন, সেইসঙ্গে প্রথম মার্কিন নাগরিক হিসেবে ইতিহাস গড়ে তিনি এই আসনে বসলেন।
নাম ঘোষণার প্রায় ৭০ মিনিট পর, ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দায় আবির্ভূত হন পোপ লিও চতুর্দশ। একদিকে শান্তির বার্তা, আরেকদিকে ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা- এই দুই নিয়ে জনতার সামনে হাজির হন তিনি। এসময় নিজের মতাদর্শ সম্পর্কে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও দিয়েছেন নতুন পোপ।
রীতি মেনে নাম পাল্টানোর সময় তিনি “লিও” নাম বেছে নিয়েছেন, যা ইতিহাসে এমন এক পোপের নামের সঙ্গে মিলে, যিনি শ্রমিকদের অধিকার আর সামাজিক ন্যায়ের কথা বলতেন। এর মানে, লিও চতুর্দশও সমাজের ন্যায়বিচার, গরিবদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে চান। প্রথম বক্তব্যেই শান্তির আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এর মাধ্যমে তিনি স্পষ্ট করেছেন বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ ও সহিংসতার মধ্যে তিনি শান্তির পক্ষে কাজ করতে চান। এছাড়া ক্যাথলিক ঐতিহ্য মেনে লাল রঙের পাপাল পোশাক পরিধান করে জনসম্মুখে এসেছেন তিনি। যার মাধ্যমে লিও চতুর্দশ ইঙ্গিত দিয়েছেন, নিজস্ব স্টাইল আর ঐতিহ্য দুটোই মিলিয়ে চলতে চান তিনি।
১৯৫৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জন্ম নেওয়া প্রিভোস্টের পরিবারে স্প্যানিশ ও ফ্র্যাঙ্কো-ইটালিয়ান বংশধারার ছাপ আছে। বাল্যকালে তিনি গির্জার সেবক ছিলেন। ১৯৮২ সালে তিনি যাজক হিসেবে অভিষিক্ত হন। এরপর ১৯৮৫ সালে পেরুতে যান অগাস্টিন গির্জার মিশনের অংশ হিসেবে। দীর্ঘ ১০ বছর পেরুর গির্জার যাজক ও সেমিনারির শিক্ষক ছিলেন প্রিভোস্ট। গরিব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানোয় স্থানীয়দের কাছে সমাজ সংস্কারক হিসেবে তার জনপ্রিয়তা আছে।
সোর্স: বণিক বার্তা
মন্তব্য করুন: