ajbarta24@gmail.com সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
১৫ বৈশাখ ১৪৩২

জার্মানিতে জোট গঠনে চ্যালেঞ্জের মুখে কনজারভেটিভ বিজয়ী মের্তস, অপেক্ষায় ডানপন্থি এএফডি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:০২ পিএম

সংগৃহীত

জার্মানির নির্বাচনে ফ্রিডরিখ মের্তস নেতৃত্বাধীন কনজারভেটিভরা জিতে গেছে।

তবে সম্ভাব্য চ্যান্সেলরের জন্য জোট বিষয়ক আলোচনা ও সরকার গঠন করা বেশ সময়সাপেক্ষ হতে পারে। কারণ মের্তস আগেই জানিয়েছেন, দ্বিতীয় স্থানে আসা দলের সঙ্গে তিনি কাজ করবেন না।

দেশটির কট্টর ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। তারা এবার ২০ দশমিক আট শতাংশ ভোট পেয়েছে।

এএফডি-এর নেতা আলিস ভাইডেল প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, "পরেরবার আমরাই প্রথম হবো।"

মের্তসের সামনে বেশ কয়েকটি কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা, অভিবাসন ইস্যুতে বিভক্ত সমাজকে একত্রিত করা এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির মোকাবিলা করার মতো কঠিন চ্যালেঞ্জে তাকে পড়তে হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সংঘাতপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি এবং অন্যদিকে রাশিয়া ও চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবও তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

তবে তিনি ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে 'সত্যিকার স্বাধীনতা' দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং শর্তসাপেক্ষে ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টরাস ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা দেওয়ার কথা বলেছেন।

মের্তস বলেন, "মূল বিষয় হলো যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম একটি সরকার গঠন করা এবং তাদের সংখ্যা পার্লামেন্টে বেশি থাকবে। কারণ বন্ধুরা বাইরের বিশ্ব আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে না এবং তারা দীর্ঘ কোয়ালিশন বা জোট বিষয়ক আলোচনা ও দর কষাকষির অপেক্ষায়ও নেই।"

জোট বিষয়ক আলোচনা দীর্ঘায়িত হলে ওলাফ শলৎজকে মাসের পর মাস তত্ত্বাবধায়ক চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হতে পারে।

চ্যান্সেলর শলৎজের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দল (এসপিডি) কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে। তারা মাত্র ১৬ দশমিক পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়েছে। শলৎজ পরাজয় স্বীকার করেছেন।

এক্সিট পোল অনুযায়ী, এই নির্বাচনে ১৯৯০ সালে জার্মানি একীভূত হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। ভোটারদের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল অভিবাসন, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং জ্বালানি সংকট।

সোর্স: The Business Standard

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর