[email protected] মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
১৫ বৈশাখ ১৪৩২

ইসরায়েলি জিম্মির নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাস

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:১২ পিএম

গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ। তেল আবিব, ইসরায়েল, ৩০ নভেম্বরছবি: এএফপি

ফিলিস্তিনের গাজায় জিম্মি থাকা এক আমেরিকান-ইসরায়েলির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা। গতকাল শনিবার নতুন এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। ভিডিওটি ঠিক কবে ধারণ করা হয়েছে, তা যাচাই করা যায়নি।ভিডিওতে যে জিম্মিকে দেখানো হয়েছে, তাঁর নাম ইদান আলেকজান্ডার। গত বছরের ৭ অক্টোবর তিনিসহ অন্যদের জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।

আলেকজান্ডাকে এই ভিডিওতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ইংরেজিতে কথা বলতে দেখা যায়। অন্যদিকে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য করে হিব্রুতে কথা বলেন।

গাজায় থাকা জিম্মিদের মুক্তির জন্য সরকারের ওপর চাপ তৈরির জন্য ইসরায়েলিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আলেকজান্ডা।

আলেকজান্ডারের মা ইয়ায়েল আলেকজান্ডার গতকাল সন্ধ্যায় তেল আবিবে জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেন। তিনি বলেন, ভিডিওটি তাঁকে বিচলিত করেছে। ভিডিওটি দেখে বোঝা যায়, তাঁর সন্তানসহ অন্য জিম্মিদের অবস্থা কতটা ভয়াবহ। বোঝা যায়, তাঁরা কতটা কান্না করছেন। তাঁরা এখনো রক্ষা পাওয়ার আশা করছেন।

এই মা জানান, তিনি নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি নেতানিয়াহুকে বলেছেন, তাঁকে অবশ্যই তাঁর প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে। জিম্মিদের মুক্ত করতে হবে। তাঁর সন্তানসহ সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনতে হবে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন, জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ইসরায়েল সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর। ভিডিওটি প্রকাশ করার ঘটনাকে ‘নিষ্ঠুর মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু।

অন্যদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন সাভেট ভিডিওটিকে ‘সন্ত্রাসের নিষ্ঠুর অনুস্মারক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, হামাস যদি জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হয়, তাহলে গাজা যুদ্ধ কালই বন্ধ হবে। গাজাবাসীদের দুর্ভোগ শেষ হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, এই হামলায় ১ হাজার ২০৭ জন নিহত হন। ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস। এখন গাজায় জিম্মির সংখ্যা ৯৭। এর মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে তাঁদের লাশ গাজায় রয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরায়েলের চলমান হামলায় ৪৪ হাজার ৩৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর