সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিতে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, বিএনপি প্রথম সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ১৯৭৫ সালে ওপেন করেছিল। তার আগে বাকশালের মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করা হয়েছিল।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনাদের প্রতি অতীতে যে নির্যাতন নিপীড়ন হয়েছে, আপনাদের আইনকানুন যে পুরোপুরি ফ্যাসিবাদী চরিত্র দেয়া হয়েছে, এ ব্যাপারগুলোতে আমরা লড়াই করেছি। আমরা লড়াই করে চলেছি। এখনো করছি। খুব স্পষ্ট ভাষায় দৃঢ়ভাবে আবারো বলতে চাই আমরা কখনোই অন্যায়ভাবে অন্যের মতকে চাপিয়ে দেয়াকে সমর্থন করব না। আমরা আরেকজনের মতের স্বাধীনতাকে নিশ্চয়ই দৃঢ়ভাবে সমর্থন দেব।
বর্তমানে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলতে গিয়ে কিছুটা আতঙ্কিত মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কিছুটা আতঙ্কিত থাকি সম্প্রতিকালে প্রেসের সামনে কথা বলতে গিয়ে। মনে হচ্ছে কোনো প্রেস আমার কথাগুলো কীভাবে নেবে। তারপর তারা কীভাবে ছাপবে। অথবা সোশ্যাল মিডিয়া কীভাবে এটা উপস্থাপন করবে। এটা আমাদের জন্য যারা আমরা রাজনীতি করি। এটা আমাদের জন্য সত্যি একটা চিন্তার বিষয়। কারণ সম্প্রতিকালে চরিত্র হরণ করার যে প্রবণতা বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখা দিয়েছে, এটাতে চিন্তিত না হয়ে উপায় নেই।
সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের বিপক্ষে প্রচার চালানো হয় আমরা সংস্কারের বিপক্ষে। প্রায়ই বলা হয় সংস্কার নয় আমরা নির্বাচন চাই। অথচ সংস্কারের বিষয়টি শুরু হয়েছে আমাদের দ্বারা। আমরাই এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা এনেছি। আমরাই সংসদীয় ব্যবস্থায় গেছি রাষ্ট্রপতি শাসিত ব্যবস্থা থেকে। অনেক আপত্তি সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে আমরা সংবিধানে নিয়ে এসেছি। এগুলো বাস্তবতা। ওই বাস্তবতা থেকে অযথা আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করে অন্য পথে দেখানো, এটার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে থাকতে পারে।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি নুরুল কবীর। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মতিউর রহমান চৌধুরী ও কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: