বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যূত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলটির পলাতক নেতাদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়েছে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পুলিশ মহাপরিদর্শককে চিঠি দিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। ১২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই-আগস্টের গণহত্যা মামলায় শেখ হাসিনাসহ পলাতকদের বিচারের আওতায় আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করবে।
‘খুব শীঘ্রই ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হবে। পৃথিবীর যেখানেই এই পলাতকরা লুকিয়ে থাকুক না কেন, তাদের ফিরিয়ে আনা হবে এবং আদালতে জবাবদিহি করতে হবে,’ বলেছিলেন আসিফ নজরুল।
গত ১৭ অক্টোবর আইসিটি শেখ হাসিনা ও অন্যান্য ৪৫ জনের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। মামলা দুটি হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জুলাই-আগস্ট মাসের গণআন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত। আগামী ১৮ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিনে আসামিদের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
অন্যান্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ এইচ মাহমুদ আলী, জুনাইদ আহমেদ পলক এবং লেখক অধ্যাপক জাফর ইকবাল।
‘তদন্তের স্বার্থে’ ট্রাইব্যুনাল অন্যান্য নাম প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইসিটিতে মোট ৫৬টি গণহত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত, আইসিটি প্রসিকিউশন টিম মোট ৮০টি অভিযোগ পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, গত ১৫ বছরে বলপূর্বক গুমসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং ২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা।
মন্তব্য করুন: