ajbarta24@gmail.com শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

উপমহাদেশীয় শিল্পীদের এতো জনপ্রিয়তা বাংলাদেশে?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:১২ এএম

পোস্টারে ‘ইকোস অব রেভ্যুলিউশন’ কনসার্ট

২১ ডিসেম্বর ‘ইকোস অব রেভ্যুলিউশন’ শীর্ষক কনসার্টে ঢাকা মাতাবেন বিশ্বখ্যাত সংগীতশিল্পী ওস্তাদ রাহাত ফতেহ আলী খান। জুলাই-আগেস্টর অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে এই আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘স্পিরিটস অব জুলাই’।

বাংলাদেশের এ আয়োজন সম্পর্কে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন রাহাত ফতেহ আলী। যেখানে তিনি বলেন, ‘আমার বীর বাঙালি ভাই-বোনদের সালাম জানাই, আসসালামু আলাইকুম। শিক্ষার্থীদের আহ্বানে আপনাদের সবার জন্য গান গাইতে আসছি আপনাদের সুন্দর জন্মভূমি বাংলাদেশে।’

বাংলাদেশে ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পীদের জনপ্রিয়তা একটি দীর্ঘদিনের সংস্কৃতিগত এবং ঐতিহাসিক বন্ধনের ফল। সম্প্রতি দেশে পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলাম একটি জমজমাট কনসার্ট করেছেন, যা ভক্তদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আগামী ২১ ডিসেম্বর আবার রাহাত ফাতেহ আলী খান ঢাকার মঞ্চ মাতাবেন। এই ধারাবাহিক আয়োজন শুধু বিনোদনপ্রেমী মানুষদের আগ্রহের বিষয় নয়, বরং এটি আমাদের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের গভীরতাকেও তুলে ধরে।

বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান একসময় একই ভূখণ্ডের অংশ ছিল। ভাষা, সুর, এবং শিল্পকলার মধ্য দিয়ে এই অঞ্চলগুলোর মানুষ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে সঙ্গীত, যা ভাষার সীমা পেরিয়ে অনুভূতির মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে। উপমহাদেশের শিল্পীদের গানে প্রেম, বিরহ, এবং আধ্যাত্মিকতার মিশ্রণ যা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে সহজেই স্থান করে নেয়।

আতিফ আসলাম ও রাহাত ফাতেহ আলী খানের মতো শিল্পীদের আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং তাদের অসাধারণ গায়কী দক্ষতা ভক্তদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষণীয়। তাদের কনসার্টের মাধ্যমে সরাসরি তাদের গান উপভোগ করার সুযোগ তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি অনন্য অভিজ্ঞতা।

তবে, বিদেশি শিল্পীদের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিলে দেশীয় সংস্কৃতি অবহেলিত হতে পারে। স্থানীয় শিল্পীদেরও সমান সুযোগ দেওয়া উচিত, যাতে বাংলাদেশের সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হয়।

বাংলাদেশে ভারতীয় উপমহাদেশের শিল্পীদের প্রতি এই কদর আমাদের ঐতিহ্যের গভীরতা এবং শিল্পের প্রতি ভালোবাসার প্রতিফলন। তবে, দেশীয় শিল্পীদের জন্যও একই রকম উৎসাহ তৈরি করা জরুরি। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পীদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে সংস্কৃতি এবং সৃজনশীলতার উন্নয়নই হতে পারে আমাদের সঙ্গীত জগতের ভবিষ্যৎ পথ।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর