নায়েব সুবেদার আব্দুল ওহাব, বীর প্রতীক, ই বেংগল ১৯৭৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১১ ই বেংগল ইউনিটের নায়েব সুবেদার এ্যাডজুটেন্ট (এনএসএ) এর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এসময় তৎকালীন ইউনিট অধিনায়ক একদিন নায়েব সুবেদার ওহাব'কে ডেকে বললেন, ক্যাপ্টেন রিয়াজ এর নেতৃত্বে ৪ দিনের জন্য ৩০ জনের একটি পেট্রোল বের হবে এবং উক্ত পেট্রোল দলে
নায়েব সুবেদার আব্দুল ওহাব, বীর প্রতীক, ই বেংগল ১৯৭৯ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১১ ই বেংগল ইউনিটের নায়েব সুবেদার এ্যাডজুটেন্ট (এনএসএ) এর দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এসময় তৎকালীন ইউনিট অধিনায়ক একদিন নায়েব সুবেদার ওহাব'কে ডেকে বললেন, ক্যাপ্টেন রিয়াজ এর নেতৃত্বে ৪ দিনের জন্য ৩০ জনের একটি পেট্রোল বের হবে এবং উক্ত পেট্রোল দলের টু-আইসি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।
১৯ জুন ১৯৭৯ তারিখে পেট্রোল দলটি অপারেশনের জন্য বের হয়। টু-আইসি হিসেবে নায়েব সুবেদার ওহাব পেট্রোলের সর্বশেষ ব্যক্তি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। তখন ছিল বিকাল ১৬০০ ঘটিকা, হঠাৎ করে তিন দিক থেকে শান্তিবাহিনীর ফায়ার আসা শুরু হলো। প্রথম ফায়ারেই ল্যান্স নায়েক হাবিব শাহাদাৎ বরণ করে। তৎক্ষণাৎ আঁড় নিয়ে নায়েব সুবেদার ওহাব ও ওয়্যারলেস অপারেটর একসাথে অবস্থান গ্রহণ করেন এবং ইউনিট অধিনায়কের সাথে যোগাযোগ করে পেট্রোলের উপর শান্তিবাহিনীর আক্রমণ সম্পর্কে অবগত করেন।
প্রায় এক ঘন্টা যাবৎ দুই পক্ষের গোলাগুলি চলমান ছিল। এক সময় শাহাদাত বরণকারী ল্যান্স নায়েক হাবিবের অস্ত্র নেওয়ার জন্য ৩ জন শান্তিবাহিনীর সদস্য এগিয়ে আসে। নায়েব সুবেদার আব্দুল ওহাব সুকৌশলে ৩ জনকেই ঘায়েল করেন। এসময় নায়েব সুবেদার ওহাব তার ডান বাহুতে মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তবুও তিনি শান্তিবাহিনীর প্রতিরোধে জীবনপণ লড়ে যান।
এই অপারেশনে নায়েব সুবেদার আব্দুল ওহাব'কে অসীম সাহসিকতা এবং নেতৃত্বের গুনাবলী প্রদর্শন করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
(চলবে)
মন্তব্য করুন: