লেফটেন্যান্ট মোঃ ফরহাদ আহমেদ, বীর প্রতীক, ই বেংগল গত ২৩ ডিসেম্বর ১৯৮৩ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ৯ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩০ ই বেংগলে কর্মরত থাকাকালীন ০৪ জানুয়ারি ১৯৮৫ তারিখে ০৩ জন শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীকে আটকের পর তিনি জানতে পারেন যে, শান্তিবাহিনীর আরো কিছু সন
লেফটেন্যান্ট মোঃ ফরহাদ আহমেদ, বীর প্রতীক, ই বেংগল গত ২৩ ডিসেম্বর ১৯৮৩ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ৯ বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩০ ই বেংগলে কর্মরত থাকাকালীন ০৪ জানুয়ারি ১৯৮৫ তারিখে ০৩ জন শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীকে আটকের পর তিনি জানতে পারেন যে, শান্তিবাহিনীর আরো কিছু সন্ত্রাসী রাঙ্গাপানিছড়া গ্রামে অবস্থান করছে।
এ তথ্যের ভিত্তিতে তিনি ০৫ জানুয়ারি ১৯৮৫ তারিখে সকাল ০৭০০ ঘটিকায় ক্যাম্প থেকে একটি টহল নিয়ে রাঙ্গাপানিছড়া গ্রামের দিকে অগ্রসর হন। এসময় আচমকা টহলটি ভারী গোলাবর্ষণের সম্মুখীন হয়। দ্রুততার সাথে টহল দল শান্তিবাহিনীর উপর মর্টার, জিএফ এবং আরএল এর গোলা বর্ষণ শুরু করে। শান্তিবাহিনীর কাছে স্বয়ংক্রীয় অস্ত্র থাকা সত্বেও সেনাবাহিনীর টহল দলের সদস্যদের ক্ষিপ্র এবং আক্রমনাত্বক মানসিকতার সামনে তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে এবং এলোমেলোভাবে বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি শুরু করে।
শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীরা যখন পালিয়ে যাচ্ছিল তখন লেঃ ফরহাদ অসীম সাহসিকতায় তাদের ধাওয়া করে একটি ৯ মিঃ মিঃ এসএমসিসহ একজনকে আটক করেন। বাকিরা অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ইউনিফর্ম ইত্যাদি ফেলে জীবন নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ০৩ এপ্রিল ১৯৮৯ তারিখে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট মোঃ ফরহাদ আহমেদ'কে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।
(চলবে)
মন্তব্য করুন: