ajbarta24@gmail.com সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
৮ পৌষ ১৪৩১

ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল, বীর প্রতীক

স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে বীর সেনানিদের বীরত্বগাঁথা (পর্ব-৪)

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:১২ পিএম
আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৯:০১ এএম

ছবি, ফেসবুক থেকে

ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল, বীর প্রতীক, ই বেংগল ১৫ জুন ১৯৮০ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ২য় বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। কমিশন লাভের পর তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের আলীকদমে মোতায়েনরত ৩৩ ই বেংগল ইউনিটে যোগদান করেন। সে সময় শান্তিবাহিনীর দূষ্কৃতিকারীদের চাঁদাবাজী, হত্যাকান্ড ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনজীবন ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নিম্নগামী ছিল।

ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল, বীর প্রতীক, ই বেংগল ১৫ জুন ১৯৮০ তারিখে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমি হতে ২য় বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের সাথে কমিশন লাভ করেন। কমিশন লাভের পর তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের আলীকদমে মোতায়েনরত ৩৩ ই বেংগল ইউনিটে যোগদান করেন। সে সময় শান্তিবাহিনীর দূষ্কৃতিকারীদের চাঁদাবাজী, হত্যাকান্ড ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডে পার্বত্য চট্টগ্রামে জনজীবন ও আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নিম্নগামী ছিল।

তরুন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল এসময় দূষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত টহল পরিচালনার পাশাপাশি অসংখ্য অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। এগুলোর মধ্যে ১৯৮২ সালের ডিসেম্বর মাসে আলীকদম থানাধীন টুইনঝিড়ি এলাকায় তার নেতৃত্বে পরিচালিত 'অপারেশন স্পট হাইট ৮৬১' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিযান ছিল। অভিযানের দিন ১২০০ ঘটিকায় তিনি ১০ জনের একটি পেট্রোল নিয়ে আলীকদম হতে পূর্বদিকে রওনা করেন। দুর্গম পাহাড়ি রাস্তা পাড়ি দিয়ে অবশেষে বিকাল ১৭০০ ঘটিকায় 'স্পট হাইট ৮৬১' এর কাছে এসে পৌঁছান। সাথে যথেষ্ট পরিমান পানি অবশিষ্ট না থাকায় সামনে পাহাড়ের উপর একটি মাচাং ঘরের উঠানে গিয়ে তিনি ৫/৬ জন তরুন তরুনীকে তাস খেলতে দেখে তাদের কাছে পানির উৎস সম্পর্কে জানতে চান। তিনি তখনও বুজতে পারেননি যে তারা অস্ত্রধারী দুষ্কৃতিকারী। এসময় শান্তিবাহিনীর দুষ্কৃতিকারীরা পেট্রোলের সদস্যদের উপর গুলি শুরু করলে তিনি কৌশলগত অবস্থান নিয়ে শান্তিবাহিনীর দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিহত করতে থাকেন। এতে ২ জন ঘায়েল হয় এবং অন্যান্য দুষ্কৃতিকারী গহীন জংগলে পালিয়ে যায়।

শান্তিবাহিনীর গোপন আস্তানা লক্ষ্য করে পরিচালিত উক্ত অপারেশনে ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল অগ্রভাগে থেকে কৌশলগতভাবে অপরিসীম সাহসিকতার সাথে অধিনস্থ সেনাসদস্যগণকে পরিচালনা করেন। তার আনিত কার্যকরী ফায়ারের চাপে দুস্কৃতিকারীরা আস্তানা হতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। উক্ত অপারেশনে শান্তিবাহিনীর গোপন ক্যাম্পটি সম্পূর্ন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং ৫টি ৩০৩ রাইফেলসহ প্রচুর পরিমানে এ্যামোনিশন, সরঞ্জামাদি, রশদ সামগ্রী এবং গুরুত্বপূর্ণ দলিল দস্তাবেজ উদ্ধার করা হয়। সফল এই অভিযানের কারণে শান্তিবাহিনী টুইনঝিড়ি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাদের প্রভাব বিস্তারে ব্যার্থ হয়।
পরবর্তীতে ০২ আগষ্ট ১৯৮৩ তারিখে তৎকালীন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ক্যাপ্টেন (পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল কে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন।

(চলবে)

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর