[email protected] মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
১৬ বৈশাখ ১৪৩২

জনপ্রিয় হয়ে উঠছে হাঁসের নতুন জাত 'বাউ-ডাক', ৩ গুণ ডিম-মাংস!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৪ পিএম

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দেশি হাঁসের তুলনায় অধিক মাংস এবং ৩ গুণ বেশি ডিম দেওয়া নতুন এক হাঁসের জাত উদ্ভাবন করেছেন। নতুন এই জাতের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাউ-ডাক’। লাভজনক হওয়ায় দিন দিন খামারিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই হাঁস পালন।

চেহারা দেশি হাঁসের মতো, কিন্তু তিনগুণ বেশি ডিম আর বেশি মাংস। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবিত নতুন জাতের হাস ‘বাউ-ডাক’ এখন প্রান্তিক খামারিদের আশার আলো। দেখতে যেন দেশি হাঁসই, খাবার ও লালনপালন পদ্ধতিও একই। তবে পার্থক্য রয়েছে উৎপাদনে। প্রচলিত দেশি হাঁস যেখানে বছরে দেয় ৭০ থেকে ৮০টি ডিম, সেখানে বাউ-ডাক দেয় ২২০ থেকে ২৩০টি ডিম।

মাত্র ১০ থেকে ১২ সপ্তাহেই প্রতিটি হাঁসের ওজন দাঁড়ায় আড়াই থেকে তিন কেজিতে। দ্রুত বৃদ্ধি, কম মৃত্যুহার আর ভালো বাজারমূল্য সব মিলিয়ে লাভজনক হয়ে উঠেছে এই জাত। এটি লালন পালন করা যাচ্ছে পোল্ট্রি সেডেও।

‘বাউ-ডাক’ দীর্ঘ গবেষণার ফল। দেশি-বিদেশি হাঁসের সংকরায়ণের মাধ্যমে জাত উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সামছুল আলম ভূঞা ও তার গবেষণা দল। উৎপাদনে লাভজনক, বাজারে চাহিদাসম্পন্ন ‘বাউ-ডাক’ হতে পারে দেশের হাঁস খাতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার।

ড. সামছুল আলম ভূঞা গণমাধ্যমকে জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় উপযোগী করে গড়া হয়েছে বাউ-ডাক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি, উৎপাদনও ভালো। সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে খামারিরা যেমন লাভবান হবে, তেমনি পূরণ হবে পুষ্টির চাহিদাও। প্রান্তিক খামারিদের কাছে জাতটি পৌঁছাতে কাজ চলছে।

সোর্স: বাংলাভিশন

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর