প্রতি বছরের মতো এবারও নববর্ষে সুরের ধারায় মুখরিত রাজধানীর রমনার বটমূল। সূর্যোদয়ের পরই বড়দের পাশাপাশি ছোটদের আনন্দ-উল্লাসে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে বটমূল। এরইমধ্যে বাবার কাঁধে চড়ে গানের তালে তালে বিরামহীন হৈ হুল্লোড় করছিল পাঁচ বছরের সামিয়া। সবাইকে জানাল নববর্ষের শুভেচ্ছা।
পুরোনো বছরের দুঃখ-বেদনা, ভুল-ভ্রান্তি পেছনে ফেলে আজ সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে রমনার বটমূলে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ ও ফিলিস্তিনের পক্ষে সহমত জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করে ছায়ানটসহ বাংলা নতুন বছর বরণে আগত সবাই।
পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে সকাল সাড়ে ৮টায় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। ৭২ ফুট লম্বা ও ৩০ ফুট প্রস্থের মঞ্চে ছায়ানটের পরিবেশনায় এবার মোট পাঁচ ধাপে অংশগ্রহণ করে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী। একক ও সমবেত কণ্ঠে মুখরিত হয় রমনার প্রতিটি প্রান্তর।
ফজর নামাজের পর থেকেই রমনার বটমূলে সব বয়সী মানুষের আগমন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা বাড়তে থাকে। এক সময় রমনার বটমূল ও তার আশপাশ কানায় কানায় ভরে ওঠে। সবাই উৎসবে মেতে উঠেন পরিবার, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও প্রিয়জনকে নিয়ে।
রমনার বটমূলে কথা হয় ধানমণ্ডি থেকে আসা জাহানারা বেগমের সঙ্গে। তার সঙ্গে রয়েছে ছেলের বৌ, ছয় বছরের নাতনি ও চার বছরের নাতি। তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই নববর্ষে রমনার বটমূল আসা হয়। তবে এবারে নাতি-নাতনি নিয়ে এসেছি। যাতে ছোটবেলা থেকে বাংলার সংস্কৃতি তাদের ভেতরে ধারণ করতে পারে। এখানে এসে তারা (নাতি- নাতনি) অনেক খুশি। তাদের খুশিতেই আমাদের আনন্দ।’
কথা হয় চাকুরীজীবী আছিয়া আকতার খানমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে নববর্ষ সবসময় একই রকম। কোনো পরিবর্তন নেই। এখানে আসলে কেন জানি মন খুব ভালো হয়ে যায়। এটা আমাদের সংস্কৃতি। সব শ্রেণির মানুষের মিলনমেলা। এক অন্য ধরনের ভালোলাগা। আমি নিজের মতো করে নববর্ষ পালন করছি।’
আরও কথা হয় অভিভাবকের সঙ্গে থাকা শিশু রাফাত, নীরব ও মীমের সঙ্গে। তারা সবাই বলে, এখানে এসে অনেক খুশি। আইসক্রিম ও হাওয়াই মিঠাই খেয়েছে, বলেই খুশিতে লুটোপুটি খাচ্ছিল তারা।
সোর্স: ntv
মন্তব্য করুন: