গাজার অধিবাসীদের অন্য দেশে স্থানান্তরের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছে সৌদি আরব। বুধবার সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে।
হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যম ওয়ালার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা থেকে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থানান্তরের মার্কিন পরিকল্পনা বন্ধে সৌদি আরব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
ইসরাইলি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রিয়াদ সফরের পর পরিকল্পনাটি বাদ দেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রকাশ্যে গাজার জন্য তার নিজের অভিবাসন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন। ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীকে স্থানান্তর করে এই অঞ্চলকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’-তে পরিণত করার প্রস্তাব করেছিলেন তিনি। তবে, আরব বিশ্ব এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই পরিকল্পনার ব্যাপক নিন্দা জানিয়েছে।
ওয়ালার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মে মাসে ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরের পর ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এই সফরের ফলে মার্কিন-সৌদি সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে, যা গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে আরো জোরদার হয়েছে।
ইসরাইলের নীতি নির্ধারণী মহলে, তথাকথিত গাজা অভিবাসন পরিকল্পনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসাকে তেলআবিবের জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
তেলআবিব বাস্তুচ্যুত গাজাবাসীদের গ্রহণ করতে পারে এমন দেশগুলোতে এই পরিকল্পনা প্রচারের জন্য ওয়াশিংটনের সমর্থনের ওপর নির্ভর করছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন দেশে যোগাযোগের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, কোনো সুনির্দিষ্ট ফলাফল অর্জিত হয়নি।
অবশ্য গত সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, ফিলিস্তিনিদের অন্যদেশে স্থানান্তরের বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এসময় তিনি বলেন, গাজা থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করবে এমন দেশ খুঁজে বের করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে ইসরাইল।
সোর্স: আমার দেশ
মন্তব্য করুন: