মাগফিরাতের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র মাহে রমজানের দ্বিতীয় দশক। পবিত্র রমজানুল মুবারকে প্রতিটি ইবাদতের প্রতিদান বহুগুণে বেড়ে যায়। এই মাস কল্যাণের মাস। এ মাসে পবিত্র আল-কোরআন নাজিলের মাস। এ মাস তাকওয়া ও সংযম অবলম্বনের মাস। এ মাস ধৈর্য্য ধারণের মাস। এ মাসই মানব জীবনকে সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য আগমন করে।
রমজান মাসের মাঝের ১০ দিন হচ্ছে মাগফিরাত বা ক্ষমার। মাগফিরাতের এ দশকে প্রতিটি মুমিনের আশা আল্লাহ পাক যেন তাকে ক্ষমা করে দেন। মাগফিরাতের দশকে আল্লাহর কাছে প্রত্যেক মুমিনের বেশি বেশি তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। কারণ তওবা সফলতার চাবিকাঠি।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই তওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সুরা : আন-নুর, আয়াত : ৩১) অন্য আয়াতে ক্ষমা প্রার্থনার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা করো আল্লাহর কাছে। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)
এই ১০ দিন করণীয় হবে আল্লাহর ক্ষমাসংক্রান্ত নামগুলো জেনে মুখস্থ করা। নামের বৈশিষ্ট্য জেনে আত্মস্থ করার চেষ্টা করতে হবে।
আল্লাহর ক্ষমাসুলভ নামগুলো হলো:
আল গফিরু (ক্ষমাশীল), আল গফুরু (ক্ষমাময়), আল গফফারু (সর্বাধিক ক্ষমাকারী), আল আফুউ (মার্জনাকারী), আল খফিদু (বিনয় পছন্দকারী), আশ শাকুরু (কৃতজ্ঞ), আল বাররু (সদাচারী), আল হালিমু (সহিষ্ণু), আস সবুরু (ধৈর্যশীল), আত তাউওয়াবু (তওবা কবুলকারী) ইত্যাদি।
মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘সকল মানুষ ভুলকারী; আর ভুলকারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো যারা তওবাকারী। (বায়হাকি)।
এছাড়াও দান ও সদকা করা পাপমোচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। পাপমুক্ত জীবনের জন্য সদকার গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান করো, তবে তা ভালো; আর যদি তা গোপনে করো এবং অভাবীদেরকে দাও তবে তা আরও উত্তম। এর মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের মন্দগুলো মোচন করে দেবেন। তোমরা যা করো, আল্লাহ তা অবগত আছেন। -সুরা বাকারাহ : আয়াত: ২৭১।
মন্তব্য করুন: