[email protected] মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
১৫ বৈশাখ ১৪৩২

ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকালে নিজ গায়ে আগুন দিলেন এক ব্যক্তি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ২১:১০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ চলাকালে এক ব্যক্তি নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন।

এই ব্যক্তির একাধিক ছবি প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি। ছবিতে তাঁর এক হাতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। একই সঙ্গে আগুন নেভানোর জন্য পথচারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের চেষ্টা করতে দেখা যায়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, গতকাল শনিবার রাতে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার প্লাজা’ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে ৭ অক্টোবর। গাজা যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকী সামনে রেখে ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ বের হয়। বিক্ষোভে প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ নেয়।

গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, যে ব্যক্তি নিজের গায়ে আগুন দিয়েছেন, তাঁর দাবি, তিনি সাংবাদিক। মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়ে অপতথ্য ছড়ানোর জন্য তিনি দায়ী।

ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়, আগুন দ্রুত নেভানো হয়। নিজের গায়ে আগুন দেওয়া ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য এই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁর আঘাত জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। সেদিন ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের তথ্যমতে, হামাসের এই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। তারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।

জবাবে ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচারে হামলা শুরু করে ইসরায়েলে। ইসরায়েলের এই হামলা চলমান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত প্রায় ৯৭ হাজার।

ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকাটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উপত্যকার ২৩ লাখ অধিবাসীর প্রায় সবাই বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উপত্যকায় খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে।

গাজা যুদ্ধের প্রথম বার্ষিকী সামনে রেখে গতকাল শনিবার ও আজ রোববার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রধান প্রধান শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভে হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন। তাঁরা গাজাসহ বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে রক্তপাত বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর