খুলনা-৫ নির্বাচনী আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি আলী আসগর লবী আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লড়াই থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত আলোচিত এ আসনে লড়াইয়ের জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শুরু করার পর হঠাৎই এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।
উল্লেখ্য এ আসনে তার প্রতিদ্বন্দী হিসেবে রয়েছেন ২০০১-এর নির্বাচনে চারদলীয় জোট থেকে বিজয়ী সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারোয়ার। ফলে আগামী নির্বাচনে তাদের মধ্যে একটি জমজমাট লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জনাব আলী আসগর লবি দীর্ঘদিন যাবৎ অসুস্থ। তিনি থাইরয়েডের ক্যানসারে ভুগছেন। এর আগে ২০১৯ সালে তিনি একটি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় দীর্ঘদিন তিনি রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন না। এমনকি ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে রাজনীতি থেকেও অব্যাহতি নিয়েছিলেন।
২০০১ সালে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর আলী আসগর লবি অনেক বেশি পরিচিত হয়ে ওঠেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেড়ে দেওয়া খুলনা-২ আসনে জিতে তিনি সাংসদ হন। সেই সময় ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিল ‘হাওয়া ভবন’। বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান এখান থেকে দল পরিচালনা করতেন। লবি হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেচিলো।
গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের এমপি নারায়ন চন্দ্র চন্দ ভারতে পালিয়ে যাবার সময় আটক হয়ে এখন কারাগারে আছেন। ফলে ফাকা হয়ে যাওয়া মাঠে নেমে হেভিওয়েট মিয়া গোলাম পরোয়ারের সাথে লড়াইয়ে নেমে পড়েছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর লবি। শেষ পর্যন্ত অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। ফলে এ আসন থেকে মিয়া গোলাম পরোয়ারের নির্বাচনী বৈতরনী পার হওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে গেলো।
যদিও এ বিষয়ে এখনো তার পরিবার কিম্বা দলের পক্ষ হতে কোন আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। অপরদিকে আলী আসগর লবির মতামত জানার জন্য ব্যক্তিগতভাবে বা ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করাও সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন: