ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্থের (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করা উচিত। পাশাপাশি তিনি গণহত্যার বিচার ও ভোটকেন্দ্রিক সংস্কারকে এই সরকারের প্রধান কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ জাতীয় পার্থের (বিজেপি) সভাপতি আন্দালিব রহমান পার্থ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করা উচিত। পাশাপাশি তিনি গণহত্যার বিচার ও ভোটকেন্দ্রিক সংস্কারকে এই সরকারের প্রধান কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রথম আলোর সোহরাব হাসানের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘রাজনীতিতে একটা গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। আমরা এখন নির্ভয়ে রাজনীতি করতে পারছি।’ প্রথম দিকে সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতৃত্বের কিছুটা দূরত্ব তৈরি হলেও বর্তমানে তা কমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রের সংস্কারের জন্য সরকার গঠিত ছয়টি কমিশন নিয়ে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘কমিশন গঠনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য যদি সরকার একটি যোগাযোগ কমিটি করত, তাহলে ভালো হতো।’ তার মতে, এই কমিটি রাজনৈতিক দল এবং কমিশনের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে পারত এবং কমিশনের সদস্যরা সহজেই রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সম্পর্কে অবগত হতে পারতেন।
১৫ আগস্টের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ’৭১-এর আগে যেমন ছিল, পরে তেমন ছিল না। ইতিহাসের মাপকাঠিতে যার যা প্রাপ্য তা তাকে দিতে হবে।’
সংবিধান সংশোধন নাকি নতুন করে লেখা—এই বিতর্কের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংবিধান নতুন করে লেখা একটা বড় বিষয়, আর বড় কোনো কাজের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন।’
ভোটের পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়েস্টমিনস্টার পদ্ধতির ধারা এখানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। এই ধারা পরিবর্তনের জন্য জনগণের ম্যান্ডেট প্রয়োজন।’
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি সরকার। পুলিশ বাহিনীকে আরও সক্রিয় ও গতিশীল করতে হবে।’
‘গণহত্যার বিচার শুধু ব্যক্তির জন্য নয়, দলের বিচারও হতে হবে’, দাবি করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা না চাইবে, ততক্ষণ তাদের রাজনীতি করার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।’
মন্তব্য করুন: