সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ৯ বছরের সাজা থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছরের সাজা থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অর্থদণ্ডাদেশ থেকেও মুক্তি পেয়েছেন তারা।
সাজার বিরুদ্ধে জুবাইদা রহমানের দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষে বুধবার (২৮ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এ মামলায় তারেক রহমান আলাদা করে আপিল না করলেও জুবাইদা রহমানের সঙ্গে তারও খালাসের আবেদন করা হয়েছিল। এই রায়ের মাধ্যমে তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
এর আগে, আপিল শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য গত সোমবারে আজ বুধবার দিন ধার্য্য করা হয়। চলতি মাসের ১৪ তারিখ জুবাইদা রহমানের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেয়া হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জুবাইদা রহমানকে দেয়া অর্থদণ্ডাদেশও স্থগিত করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এই মামলায় ২০২৩ সালের ২ আগস্ট রায় দেয় ঢাকা মহানগর জজ আদালত। রায়ে দুইটি ধারায় তারেক রহমানকে ৯ বছর কারাদণ্ড এবং জুবাইদা রহমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়।
অবশ্য, মামলাটিতে জুবাইদা রহমানের সাজা স্থগিত করে গত বছরের ৪ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাজা স্থগিত চেয়ে জুবাইদা রহমানের করা আবেদন এবং আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় তাকে দেয়া দণ্ডাদেশ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হলো।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলাটি দায়ের করেছিল দুদক।
গত ৬ মে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। তিনি স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন।
দেশে ফিরে আপিল করার জন্য ৫৮৭ দিন বিলম্ব মার্জনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জুবাইদা রহমান, যা ১৩ মে মঞ্জুর করেন উচ্চ আদালত। বিলম্ব মার্জনার আবেদন মঞ্জুরের পর তিনি আপিল করেন এবং জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে পরদিন হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
সোর্স: যুমনা
মন্তব্য করুন: