রমজান মাস ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন দেশের অন্যতম পাইকার বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের এলসি (ঋণপত্র) প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ পণ্য দেশে পৌঁছেছে। কিছু পণ্য রয়েছে পাইপলাইনে। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, রমজানে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পিঁয়াজ, আলু, চিনি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, আদা, হলুদ, গম, মরিচের সর্বোচ্চ সংখ্যক আ
রমজান মাস ঘিরে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন দেশের অন্যতম পাইকার বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। অতিপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের এলসি (ঋণপত্র) প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে উল্লেখযোগ পণ্য দেশে পৌঁছেছে। কিছু পণ্য রয়েছে পাইপলাইনে। রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, রমজানে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য পিঁয়াজ, আলু, চিনি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, আদা, হলুদ, গম, মরিচের সর্বোচ্চ সংখ্যক আমদানি হতো প্রতিবেশী ভারত থেকে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুতির পর ভারত থেকে পণ্য আমদানি কমতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় পণ্য তৃতীয় দেশ থেকে এনেছেন।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, রমজান ঘিরে ভোগ্যপণ্য আমদানির সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে কিছু পণ্য চলে এসেছে গুদামে। আরও কিছু পণ্য দেশে আসার পাইপলাইনে আছে। পর্যাপ্ত পণ্য আমদানি হবে। আশা করছি রমজানে পণ্যের কোনো সংকট হবে না।
চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে সব পণ্যের বুকিং রেট বেড়েছে। সরবরাহ চেইন ঠিক রাখতে পারলে বাজারে পণ্যের কোনো সংকট দেখা দেবে না।
জানা যায়, এক মাস আগে থেকেই দেশে আসতে শুরু করেছে আমদানি-পণ্য। ধারণা করা হচ্ছে- এবার রমজানে বিগত যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ভোগ্যপণ্য আমদানি হবে। এ ছাড়া আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের দোকান ও গুদামে রয়েছে পণ্যের প্রচুর মজুত। তাই এবার রমজানে ভোগ্যপণ্যের ঘাটতি হবে না। রমজানে সাধারণত শরবতের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই চিনির ব্যবহারও বাড়ে কয়েক গুণ। চাহিদার কথা চিন্তা করে আমদানিকারকরা প্রয়োজনীয় চিনি আমদানির প্রক্রিয়া শেষ করেছেন অনেক আগেই। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে যায় ছোলার চাহিদা। রমজানে চাহিদার ৮০ হাজার টন ছোলা আমদানির প্রক্রিয়া শেষ করেছেন ব্যবসায়ীরা। অস্ট্রেলিয়া থেকেও এসেছে প্রচুর পরিমাণে ছোলা। রমজানে সাদা মটর, মসুর ডাল, ভোজ্য তেল, চিড়া এবং খেজুরের চাহিদাও বাড়ে। সাধারণত খেজুর আমদানি হয় আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, দুবাই ও সৌদি আরব থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে খেজুরের শুল্ককর কমানো হয়েছে। তাই এবার দাম সহনশীল থাকবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
মন্তব্য করুন: