ajbarta24@gmail.com বুধবার, ৮ জানুয়ারি ২০২৫
২৪ পৌষ ১৪৩১

ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্য কেনা-বেচা করতে মিরসরাইয়ে চালু হল ‘কৃষকের বাজার’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:১০ পিএম

সংগৃহীত ছবি

ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের পণ্য বিক্রি ও ক্রেতাদের কিনতে পারার লক্ষ্যে মিরসরাইয়ে চালু হয়েছে ‘কৃষকের বাজার’। ২৪ অক্টোবর সকালে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস ও বারইয়ারহাট পৌরসভার সহযোগিতায় বারইয়ারহাট ট্রাফিক মোড় চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বাজারের যাত্রা শুরু হয়।

সবজি কিনতে আসা রহিমা বেগম বলেন, বর্তমান বাজারে সবজির যে দাম, তা কেনার ক্ষমতার আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের সামর্থ্য নেই। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অল্প স্বল্পমূল্যে সবজি কিনতে পেরে আমি খুবই খুশি।

রিকশাচালক মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, রিকশা চালিয়ে কোনোভাবে সংসার চালাচ্ছি। দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতির দাম তা ক্রয় করার ক্ষমতা নেই। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। আজকে উপজেলা প্রশাসন এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া খুবই আনন্দিত আমরা।

কৃষকের বাজারের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন। তিনি বলেন, ‘সরকার কর্তৃক গৃহীত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর পদক্ষেপ হিসেবে বারইয়ারহাট ট্রাফিক চত্ত্বরে ‘কৃষকের বাজার’ চালু করা হয়েছে। এই বাজারে কৃষকরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত পণ্য কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর সহায়তা ছাড়াই বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিটি পণ্যের মূল্য আমরা এমনভাবে নির্ধারণ করেছি যাতে কৃষকও লাভবান হয়, ক্রেতারাও অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যে সবজি ক্রয় করতে পারেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান না। যেমন ধরেন ১টি লাউয়ের বর্তমান বাজার মূল্য ৭০ টাকা অথচ কৃষকদের কাছ থেকে পাইকাররা ৩৫ টাকা করে প্রতি পিস কিনে নেন। এতে এক দিকে যেমন কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, একইসঙ্গে ক্রেতারাও ন্যায্য মূল্যে পণ্য কিনতে পারছে না। প্রতি কেজি শসার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ টাকা। যে টাকাটা সরাসরি কৃষক পাবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবর্তী, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ, কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায়, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির খান প্রমুখ।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর