যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে ইরান-সংক্রান্ত নীতিগত ঐক্য আরও মজবুত করতে চায় ওয়াশিংটন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে— যাতে বলা হয়েছে, ইরান বিষয়ে দুই দেশের অবস্থান যেন একই থাকে।
এই বার্তাটি ব্যক্তিগতভাবে পৌঁছে দিয়েছেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোম। ২৭ মে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
২৭ মে সোমবার, ইসরায়েল সফর শেষে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টি নোম জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তাকে বিশেষভাবে পাঠানো হয়েছিল নেতানিয়াহুর সঙ্গে “খোলামেলা ও সরাসরি” আলোচনার জন্য।
এই আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল— ইরান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল যেন সম্মিলিত অবস্থানে থাকে এবং আলোচনার সময় কোনও বিভাজন তৈরি না হয়। ট্রাম্প নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, আলোচনায় কিছু “ইতিবাচক অগ্রগতি” হচ্ছে।
এদিকে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়— কিছু মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে তারা জানতে পেরেছে, ইসরায়েল ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যদিও এ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ইরান এই সম্ভাব্য হামলার বিষয়ে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে— যদি এমন কিছু ঘটে, তাহলে তারা কঠোর জবাব দেবে। তেহরান মনে করছে, নেতানিয়াহু ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে চাইছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, “নেতানিয়াহু মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের মতো করে চালনা করতে।” ইরান বারবার জানিয়েছে, তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলেই পরিচালিত হচ্ছে এবং এটি শান্তিপূর্ণ বেসামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু ইসরায়েল বহুদিন ধরেই এই কার্যক্রমকে অস্ত্র তৈরির পথ বলে দাবি করে আসছে এবং ইরানকে তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি মনে করে।
সোর্স: ইনকিলাব
মন্তব্য করুন: