ajbarta24@gmail.com শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

‘নারী’র সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিলেন ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:০৪ পিএম

সংগৃহীত

‘নারী’ শব্দের আইনি সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দিলেন যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালত। সেই সংজ্ঞায় ট্রান্সজেন্ডারদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের পাঁচজন বিচারক বুধবার এ নিয়ে একটি রায় দেন।

রায় অনুযায়ী, সমতা আইনে নারীর সংজ্ঞা কেবল ‘একজন জৈবিক নারী এবং জৈবিক লিঙ্গ’ বোঝাবে। অর্থাৎ নারী কেবল জন্মসূত্রেই। পাশাপাশি দেশটিতে এখন থেকে নারী সংশ্লিষ্ট পরিষেবা-হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এবং স্পোর্টস ক্লাবের জায়গায় ট্রান্সজেন্ডার নারীদের আর স্থান হবে না। একক লিঙ্গের স্থানগুলো আইনতভাবে সুরক্ষিত থাকবে। এএফপি।

মূলত এক ট্রান্সজেন্ডার নারীর দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সুপ্রিমকোর্ট এ রায় দিলেন। নারীর সংজ্ঞাও নির্ধারণ করে দিলেন। মামলার বিষয়বস্তু ছিল জেন্ডার রিকগনিশন সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত (জিআরসি) একজন ট্রান্স-নারী ব্রিটেনের ইকুয়ালিটি অ্যাক্টের অধীনে নারী হিসাবে বৈষম্য থেকে সুরক্ষা পাবেন কিনা। জিআরসি হলো একটি আনুষ্ঠানিক নথি যা ব্যক্তির নতুন লিঙ্গকে আইনি স্বীকৃতি দেয়।

২০১০ সালের সমতা আইন নিয়ে চলছিল সেই মামলা। এরপর স্কটল্যান্ডের একটি সংস্থা ফর উইমেন স্কটল্যান্ড (এফডব্লিউএস) ২০১৮ সালে আদালতে একটি চ্যালেঞ্জ নিয়ে যান। তারা যুক্তি দেন, ‘নারী অধিকারগুলো’ কেবল জন্মের সময় নারী হিসেবে নির্ধারিত ব্যক্তিদের জন্যই সুরক্ষিত করা উচিত। কিন্তু স্কটিশ সরকার বলেছিল, একজন ট্রান্স নারীও আইনতভাবে নারী এবং তাই তাদেরও একই আইনি সুরক্ষা প্রদান করা উচিত। অবশেষে এই রায় এফডব্লিউএসের পক্ষে যায়।

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি বলেছে, এই রায় ‘স্পষ্টতা’ এনেছে। বিরোধীরাও এটিকে ‘সাধারণ জ্ঞানের স্পষ্ট বিজয়’ বলে অভিহিত করেছে এবং সরকারকে বিদ্যমান নির্দেশিকা স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়েছে। বিচারক লর্ড হজ বলেছেন, এই আদালতের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হলো, ২০১০ সালের সমতা আইনে নারী এবং ‘যৌনতা’ শব্দটি দিয়ে একজন ‘জৈবিক নারী’ এবং ‘জৈবিক যৌনতাকে’ বোঝায়। তিনি আরও বলেন, এই রায়কে একপক্ষের ওপর অন্যপক্ষের জয় হিসাবে দেখা উচিত নয়। আইনটি এখনো ট্রান্সজেন্ডারদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। স্কটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী আন্দোলনকারীরা আদালত কক্ষ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। তাদের মধ্যে অনেকে খুশিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সোর্স: যুগান্তর 

 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর