ajbarta24@gmail.com শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২

বাইডেনের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত সব অ্যাটর্নিকে বরখাস্তের আদেশ ট্রাম্পের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:০২ পিএম

ফাইল ছবি

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হাতে নিয়োগ পাওয়া ইউএস অ্যাটর্নিদের যাঁরা এখনো কাজে আছেন, তাঁদের বরখাস্ত করার আদেশ দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছেন তিনি।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘গত চার বছরে মার্কিন বিচার বিভাগের এতটাই রাজনীতিকরণ হয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। এ জন্য আমি বাইডেন আমলে নিয়োগ পাওয়া বাকি সব অ্যাটর্নিকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।’

ট্রাম্প আরও লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ স্বর্ণযুগে অবশ্যই একটি স্বচ্ছ বিচারব্যবস্থা থাকতে হবে, যা আজ শুরু হলো।’

যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় কৌঁসুলিরা ইউএস অ্যাটর্নি নামে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত দেখা যায়, নতুন কোনো প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের প্রেসিডেন্টের নিয়োগ করা অ্যাটর্নিদের সরিয়ে দেন। ওই জায়গায় অন্য কাউকে নিয়োগ দেন তাঁরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ৯৪টি কেন্দ্রীয় ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে ৯৩ জন ইউএস অ্যাটর্নি আছেন। একেকজন অ্যাটর্নি একটি ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের দায়িত্বে থাকলেও দুটি ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট আছে, যেগুলো একজন অ্যাটর্নিই সামলান।

প্রতিটি ডিস্ট্রিক্টে অ্যাটর্নিরা কেন্দ্রীয় শীর্ষ আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হন।

গত বছরের নভেম্বরে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেনের আমলে নিয়োগ দেওয়া কয়েকজন অ্যাটর্নি পদত্যাগ করেন।

ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, বাইডেনের নেতৃত্বাধীন বিচার বিভাগ তাঁকে অন্যায়ভাবে বিচারের মুখোমুখি করেছেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই বিচার বিভাগে ব্যাপক পরিবর্তন আনার জন্য তৎপর হয়েছেন। অনেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে, পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে বা নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সাবেক বিশেষ পরামর্শক (স্পেশাল কাউন্সেল) জ্যাক স্মিথের কার্যালয়ের সদস্যরা আছেন। জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা হয়েছিল। যদিও এখন মামলাগুলো বাতিল হয়ে গেছে।

নিউইয়র্কের সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্টের ভারপ্রাপ্ত ইউএস অ্যাটর্নি গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বিগত ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নিউইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য বিচার বিভাগ থেকে তাঁকে অনুরোধ করার পর তিনি পদত্যাগ করেছেন।

সোর্স: প্রথম অলো 

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর