[email protected] মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
১০ আষাঢ় ১৪৩২

থেমে গেলো ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ! কি হবে অসহায় ফিলিস্তিনিদের?

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২৫ ১৬:০৬ পিএম

ফাইল ছবি

ডজন খানেক দিন পর অবশেষে থেমে গেলো ইরান-ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী দখলদার ইসরায়েলের ইহুদিরা যে সংঘাতের শুরু করেছিলো আগ বাড়িয়ে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে সেই যুদ্ধের অবসান ঘটলো।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত থেমে গেলেও মুসলিম বিশ্বের কি একবারও মনে পড়ছে না অসহায় নিরস্ত্র নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর নরপিশাচ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আগ্রাসনের কথা? ইরানকে যেভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থামিয়ে দিলেন ইসরায়েলে হামলা চালানোর পথ থেকে, ঠিক একইভাবে কি ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে থামাতে পারতেন না গাজায় গণহত্যার রাস্তা থেকে?

এইতো কদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোষ্টে আক্ষেপ নিয়েই বললেন, পৃথিবীর যত যুদ্ধ তিনি থামিয়েছেন এরপরও নোবেল পাননি, তিনি একাই ৪-৫টা নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। কতই না আক্ষেপ পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমাতাধর এই ব্যক্তির। দুনিয়ার সকল যুদ্ধ থামালেও তিনি যেনো নিশ্চুপ গাজার অসহায় মুসলমানদের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসন, মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধে।

২০২৩ এর অক্টোবর থেকে বিরামহীনভাবে গাজার নিরীহ মুসলমানদের ওপর গোলাবর্ষণ করেই যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। জাতিসংঘ থেকে শুরু করে মুসলিম বিশ্ব এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে বারবার যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানালেও তাতে যেনো কর্ণপাত করার ফুসরত মেলে না নেতানিয়াহু বা ট্রাম্প কারোরই। ইহুদিবাদী ইসরায়েল আর আমেরিকা যেনো এখানে এক বিন্দুতে মিলে গিয়ে নেমেছে মুসলিম নিধনের নির্লজ্জ বেহাপনায়। আর কত রক্ত ঝরালে কত প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা আসবে ফিলিস্তিনের? আছে কি কারও জানা? মানুষ কতটা অমানুষ হতে পারে পশুর মত আচরণ করতে পারে তার যেনো উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই নেতানিয়াহু।

দীর্ঘ ২০ মাস ধরে গাজা উপত্যকায় চালানো আগ্রাসনে ইসরায়েলি সেনারা এ পর্যন্ত হত্যা করেছে প্রায় ৫৭ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমানকে, যার মধ্যে নারী, শিশুর সংখ্যাটাই বেশি। যদিও বেসরকারি সূত্র অনুযায়ী নিহতের এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া নিখোঁজ হওয়াদের তথ্য এখানে নেই। তাই গাজায় চালানো ইসরায়েলের এই কাপুরুষোচিত আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা কোনভাবেই এক লাখের নিচে নয় বলেই জানা যাচ্ছে।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত যেভাবে যত দ্রুত থেমে গেলো, গাজা উপত্যকায় চালানো নিরস্ত্র মুসলমানদের ওপর হামলা কেন বন্ধ হয়না ইসরায়েলের? ইরান শক্তিশালী পেরে উঠবে না বলেই কাপুরুষের মত লেজ গুটিয়ে নিয়ে নতি স্বীকার করেছে কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী নেতানিয়াহু। কিন্তু নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্লজ্জ বেহায়া নরপিশাচের মত আগ্রাসন চালিয়ে এখনো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হত্যা করছে।

৭৬ বছর আগে যাদের ভূমিতে এসে ভিক্ষুকের বেশ ধরেছিলো নেতানিয়াহুর পূর্বপুরুষরা সেই ভূমিকেই আজ নিজেদের দখলে নিয়ে তাদের উপকারের কথা ভুলে গিয়ে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ঝাঁঝরা করে দিচ্ছে বুক। ইতিহাসের যেনো চরম বেঈমানি আর নাফরমানির দৃষ্টান্ত গড়ছে বিশ্বের বুকে অবৈধ স্বঘোষিত রাষ্ট্র ইসরায়েল।

সোর্স: ইনকিলাব

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর