ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে মিছিল করার অপরাধে পাঁচ বাংলাদেশিসহ চার শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ‘স্টুডেন্ট ভিসা’ বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট (পররাষ্ট্র মন্ত্রী) মার্কো রুবিও এ তথ্য জানিয়েছেন। এসব শিক্ষার্থী গত ২ বছর ফিলিস্তিনে ইসরাইলিদের বর্বর হামলা ও হত্যাযজ্ঞবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন।
মার্কো রুবিও বলেন, ভিসা বাতিলকৃত বিদেশি শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিল। প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের চিহ্নিত করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হবার পরও ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিক্ষোভ করার অপরাধে চাকরি পাবার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত ৭ দিনে চার শতাধিক বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল হওয়াদের মধ্যে মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশি পাঁচ জন শিক্ষার্থী। তাদের ২ জনের বাড়ি সিলেট জেলায়, ২ জন ঢাকা ও ১ জন বগুড়া জেলার। এ তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ফিলিস্তিনে ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত মিছিলে শতশত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লেখাপড়া করছেন।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্বখ্যাত হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন ছাত্র ও ২ জন সদ্য গ্রাজুয়েটের ভিসা বাতিল করেছে। তাদের গ্রেফতার করে ডিপোর্টেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ৪ জনের ভিসা শনিবার (৫ এপ্রিল) বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সোর্স: বাংলাভিশন
মন্তব্য করুন: