একটি দেশের সমৃদ্ধি প্রায়ই নির্ভর করে সে দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর। উচ্চশিক্ষিত জনশক্তি সাধারণত অধিক উৎপাদনক্ষম, উদ্ভাবনে সক্ষম এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিশ্বের সবচেয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী রয়েছে এমন দেশগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে সিবিআরই রিসার্চ। এতে ২৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ব্যাচেলর ডিগ্রি বা তার চেয়ে উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষের সংখ্যা ও শতকরা হারের ভিত্তিতে দেশগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রাপ্ত সর্বশেষ উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিশ্বের যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি শিক্ষিত
বিশ্বব্যাপী উচ্চশিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে বিভিন্ন দেশ। উন্নত দেশগুলো সাধারণত উচ্চশিক্ষায় ব্যাপক প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে পেরেছে। তবে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো এখনো সে লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে।
বিশ্বব্যাপী শিক্ষার হার বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। শিক্ষিত প্রাপ্তবয়স্কের অনুপাতে ইউরোপের ছয়টি দেশ রয়েছে সেরা দশের তালিকায়।
এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে আয়ারল্যান্ড, যেখানে ২৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার ৫২ শতাংশের বেশি—অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশিব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা সমমানের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে সুইজারল্যান্ড ও সিঙ্গাপুর, যেখানে এই হার ৪৬ শতাংশ ও ৪৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রেও শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্য—৪০ শতাংশ। সংখ্যার বিচারে দেশটির শিক্ষিত মানুষের সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ, যা ৭ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি।
সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ চীন ও ভারতের ক্ষেত্রে চিত্রটি ভিন্ন। এই দুটি দেশের শিক্ষিত জনগণের অনুপাত তালিকায় সর্বনিম্ন হলেও, জনসংখ্যার বিশাল আকারের কারণে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের মোট সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এখানেই।
দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে চিলি, কোস্টারিকা, ব্রাজিল ও কলম্বিয়ায় উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারীর হার ১৯ থেকে ২৩ শতাংশের মধ্যে।
উচ্চশিক্ষার হার এবং মাথাপিছু আয়–এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ ইতিবাচক সম্পর্ক থাকায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উচ্চশিক্ষায় প্রবেশাধিকারের সম্প্রসারণ এখনো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। কারণ, এসব দেশের বড় একটি কর্মশক্তি এখনো শিক্ষাবঞ্চিত।
সোর্স: The Business Standard
মন্তব্য করুন: