বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, 'আমরা অতীতের রাজনীতির পুনরাবৃত্তি চাই না, যে রাজনীতিতে ক্ষমতা চলে গেলে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। আমরা এমন রাজনীতি চাই, যে রাজনীতিতে ক্ষমতা চলে গেলেও মানুষ আপনাকে সম্মান করবে। আমরা অতীতের গুম, খুন, হত্যা, নিপীড়ন-নির্যাতন চাই না। আপনার সঙ্গে আমার মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের প্রশ্নে, সমাজের ইতিবাচক প্রশ্নে, সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, 'আমরা অতীতের রাজনীতির পুনরাবৃত্তি চাই না, যে রাজনীতিতে ক্ষমতা চলে গেলে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়। আমরা এমন রাজনীতি চাই, যে রাজনীতিতে ক্ষমতা চলে গেলেও মানুষ আপনাকে সম্মান করবে। আমরা অতীতের গুম, খুন, হত্যা, নিপীড়ন-নির্যাতন চাই না। আপনার সঙ্গে আমার মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের প্রশ্নে, সমাজের ইতিবাচক প্রশ্নে, সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির প্রশ্নে, আমরা এক এবং ঐক্যবদ্ধের সংহতির মাধ্যমে দেশকে পুনর্গঠন করতে চাই। দেশে আর কোনও রাজনৈতিক সহিংসতার পুনরাবৃত্তি আর চাই না, প্রাণহানি চাই না।'
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে জাতীয় নাগরিক কমিটির আয়োজনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক ধারা পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যুগের পর যুগ ফ্যাসিবাদের শিকল থেকে মুক্ত হতে পারিনি। বাংলাদেশের আষ্টেপৃষ্ঠে ফ্যাসিবাদী শিকলে বাঁধা ছিল। এটাই চরম সত্য কথা। কিন্তু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদের শিকল মুক্ত করেছে ভয়হীন তরুণ প্রজন্ম। যে প্রজন্মটাকে আমরা অলস ভাবতাম, মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকতো তারা, ওই প্রজন্মই দিন শেষে আমাদের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।'
তিনি বলেন, 'ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না, স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা করার অধিকার ছিল না, কোরআন যেভাবে বলেছে ইমামরা সেভাবে খুতবা দেবে- তাতেও বাধা দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা নিজেদের মতো করে পেশাদারিত্ব পালন করবে, সেখানেও বাধা দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যম থেকে সামাজিক মাধ্যম ওই ফ্যাসিবাদী চক্র নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। তরুণ প্রজন্মই আমাদের এসবের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে।'
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘দেশের পদে পদে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে, এই সিন্ডিকেটগুলো সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ ও ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। যারা দেশের ও মানুষের অকল্যাণ চায়, তাদের বিরুদ্ধে এই তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যে করেই হোক এই সিন্ডিকেট ভেঙে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠন করবো।’
তিনি বলেন, ‘আমি দেবিদ্বারের মানুষের কল্যাণ চাই, দেবিদ্বারে আর কোনও রাজনৈতিক সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না। আপনি যে মতের বা পথেরই হোন না কেন এতে কিছু আসে যায় না। আমি দেখবো আপনি দেশের-দেবিদ্বারের কল্যাণ চান কিনা। যদি চান তাহলে আপনি আমার বন্ধু। আর যদি না চান তাহলে আপনার সঙ্গে আমার মতপার্থক্য থাকবেই।’
জামাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় নাগরিক কমিটির মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মজিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম শামীম, ডা. সাঈদ, নাহিদ হাছান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক সাকিব হাসান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন: