ছাত্রলীগের আমলনামায় রয়েছে, বিশ্বজিৎকে মব স্টাইলে হত্যা, বদরুল কর্তৃক একটি ছাত্রীকে নৃশংস খুন, আবরার ফাহাদকে রাতভর পৈশাচিক উল্লাসে হত্যা সহ অসংখ্য খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ভূমিদখল, টেন্ডারসন্ত্রাসের ভয়ংকর অপরাধ। এসব ভংয়কর অপরাধের কারণে ছাত্রলীগ সংগঠন হিসিবে তার ক্রেডিবলিটি হারিয়েছে। সাধারণ ছাত্রসমাজে তার গ্রহনযোগ্যতা একেবারে শুণ্যের কোটায়।
যেকোন সিদ্ধান্ত বা ফলাফলের অবধারিত পূর্ব সংযোগ বিদ্যমান থাকে। যেমন ধরা যেতে পারে, একজন ছাত্র সারাবছর তার লেখাপড়ায় অমনযোগী হয়ে ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করলো। ফেল করার কারণে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ তাকে অকৃতকার্য ঘোষণার সাথে সাথে তাকে ওই স্কুল থেকে টিসি প্রদান করলো। টিসি প্রদানের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হলো- ওই ছাত্র প্রতিষ্ঠানে মারামারি করছে, অন্য ছাত্রদেরকে মাদক সেবনে উদ্বুদ্ধ করছে, নারী কেলেংকারির সাথে জড়িত, প্রতিষ্ঠানের ক্যান্টিন থেকে খাবার খেয়ে টাকা দিচ্ছেনা এরকম আরো বিস্তর অভিযোগ। ছাত্রটি নিজে ধ্বংস হচ্ছেনা, বরং সে অন্য শিক্ষার্থীদেরও জীবন ধ্বংসের একটি সিঁড়ি হিসেবে কাজ করছে। ফলশ্রুতিতে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে ওই ছাত্রকে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দিলো। এটা ওই প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ নির্বাহী বিভাগের একটি সম্মিলিত নৈতিক সিদ্ধান্ত।
এই সিদ্ধান্তের দুটি পজিটিভ দিক রয়েছে, এক- ওই ছাত্রের হাত থেকে অন্য শিক্ষার্থীদের বাঁচানো। দুই- প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখা।
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হবার পিছনে ঠিক এরকম কিছু যৌক্তিক কারণ বিদ্যমান। ছাত্রলীগের আমলনামায় রয়েছে, বিশ্বজিৎকে মব স্টাইলে হত্যা, বদরুল কর্তৃক একটি ছাত্রীকে নৃশংস খুন, আবরার ফাহাদকে রাতভর পৈশাচিক উল্লাসে হত্যা সহ অসংখ্য খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ভূমিদখল, টেন্ডারসন্ত্রাসের ভয়ংকর অপরাধ। এসব ভংয়কর অপরাধের কারণে ছাত্রলীগ সংগঠন হিসিবে তার ক্রেডিবলিটি হারিয়েছে। সাধারণ ছাত্রসমাজে তার গ্রহনযোগ্যতা একেবারে শুণ্যের কোটায়।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী পরিষদ এঅবস্থায় মনে করেছে, বর্তমান বৈশিষ্ট্যের ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ না করলে অন্য সকল শিক্ষার্থীর সাধারণ জীবনযাপন ধ্বংসের মুখে পতিত হবে। এই অবস্থায় নিষিদ্ধের মাধ্যমে বৃহত্তর গোষ্ঠীর স্বার্থ সংরক্ষনই মূল বিষয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পরবর্তীতে অন্য কোন সংগঠনও কি নিষিদ্ধ হতে পারে? উত্তর- হ্যা, হতে পারে। তারাও যদি সমাজনষ্টের মতো কার্যক্রম করে, তাহলে নিষিদ্ধ হতে পারে।
এটাও প্রশ্ন আসতে পারে, ছাত্রলীগ কি তার নিষিদ্ধ তকমা উঠাতে পারে? উত্তর- হ্যা পারে। ছাত্রলীগ যদি একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে ভালো কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে, তারা তাদের পূর্বের কার্যকলাপ পরিত্যাগ করে একটি ছাত্রসমাজ বান্ধব সংগঠনে পরিণত হয়েছে, তাহলে সাধারণ ছাত্রসমাজ তাদের আবার গ্রহণ করতে প্রস্তুত।
শেষ কথা হচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা আজীবন থাকেনা।
মন্তব্য করুন: