দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু থেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ব্যাপারে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়ে আসছে ড. ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। বিএনপি, জামায়াত সহ সকল ইসলামপন্থী দলগুলো অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সাথে দেখা করে তাদেরকে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন।
অথচ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনে বেশ কিছু সুযোগ সন্ধানী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা বাধা প্রদান করে সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরে ঈদগাহ ও খেলারমাঠে পূজা উদযাপনে বাঁধা দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি তারা মিছিলও করেছে পূজা বন্ধে।
রাজধানী’র সবুজবাগ থানার সামনে ৭০ থেকে ৮০ জনের ছোট একটি দল ব্যানার ও প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করেছে। ব্যানারে হিংসাত্মক কিছু বাক্য ব্যবহার দেখা গেছে। প্লাকার্ডে লেখা ছিলো ”যত্রতত্র পূজা করতে দেয়া হবেনা”। এরকম হিংসাত্মক বাক্য নিয়ে একটি থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন কিসের ইঙ্গিত দেয়? অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গত ১৬ বছরে আদতপক্ষে এই গুটিকতক সুবিধাভোগী মানুষগুলো আওয়ামীলীগ সরকারের-ই প্রসাদ খেয়েছে। এসব সুযোগ সন্ধানী, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, সরকারকে বিব্রত অবস্থায় ফেলার অপচেষ্টা কারীদের এখনই দমন করা প্রয়োজন। যদিও ড. ইউনুসের সরকার এসব দমনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে অপ্রতুল মনে হচ্ছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা বিশৃঙ্খলা দমনে অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু জায়গায় আপনাদের কঠোরতা জনসাধারণকে স্বস্তি দেবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরের সংখ্যা অনেক কম। তারা খোলা কোন স্থানে মন্ডপ বানিয়ে সাময়িক ভাবে কিছুদিনের জন্য তাদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা করতেই পারে। এই অধিকার তাদের অবশ্যই দেয়া উচিৎ।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গা। এখানে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান সবাই একসাথে পারস্পরিক ভাতৃত্ব বন্ধন নিয়ে বসবাস করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টকারীরা মূলত বিভাজন চায়। দেশকে অস্থিতিশীল করতে সু-পরিকল্পিত প্রচেষ্টায় লিপ্ত তারা।
পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে যেখানে কলাবাগান মাঠে পূজা উদযাপনে বাঁধা দেয়া হয়েছিল, সেখানে ড. ইউনুস সরকারের সময় নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন হচ্ছে। এটাইতো সম্প্রীতির বার্তা দেয়।
মন্তব্য করুন: