ajbarta24@gmail.com রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫
২২ পৌষ ১৪৩১

জুলাই বিপ্লব নিয়ে আশীফ এন্তাজ রবির 'ট্রেন টু ঢাকা'

ফিচার ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৩ জানুয়ারি ২০২৫ ০১:০১ এএম

ছবি, ফেসবুক থেকে

জুলাই বিপ্লব নিয়ে উপন্যাস লিখছেন লেখক ও সাংবাদিক আশীফ এন্তাজ রবি। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তার প্রকাশিতব্য উপন্যাসের কিছু অংশ তুলে ধরেন ঠিক এভাবে- "জুলাই আগস্টের উপর যে উপন্যাসটা লিখছি, তার কয়েকটা লাইন এই রকম। পড়ে জানান তো কেমন লাগছে ............. ........ ......: স্লামালাইকুম স্যার। এসির কী ঝামেলা হইছে?: ক

জুলাই বিপ্লব নিয়ে উপন্যাস লিখছেন লেখক ও সাংবাদিক আশীফ এন্তাজ রবি। সম্প্রতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-এ নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে তার প্রকাশিতব্য উপন্যাসের কিছু অংশ তুলে ধরেন ঠিক এভাবে-

"জুলাই আগস্টের উপর যে উপন্যাসটা লিখছি, তার কয়েকটা লাইন এই রকম। পড়ে জানান তো কেমন লাগছে ...
.......... ........ ......
: স্লামালাইকুম স্যার। এসির কী ঝামেলা হইছে?
: কী সমস্যা এইটা তো তোমরা বাইর করবা। এসি দিয়া গরম বাতাস বাইর হইতাছে। ভালো কইরা চেক কইরা দেখো।
দুইজন মিস্ত্রি ব্যস্ত হয়ে গেলো কাজে। দশ মিনিটের মধ্যে হেড ইলেকট্রিশিয়ান দাঁত বের করে বললো, স্যার বাতাস তো ঠান্ডা। কোনো সমস্যা তো দেখতাছি না।
ইলেকট্রিশিয়ানের এসিসটেন্ট এসি বিশেষজ্ঞও একই রায় দিলো। স্যার, বাতাস বরফের মতো ঠান্ডা। হাত দিয়া দেখেন।
মোখলেসুর সাহেবের মনে হলো, এই দুই মিস্ত্রির দুই পাছায় দুইটি লাথি মেরে জানালা দিয়ে ফেলে দেয়া দরকার।
এই অফিসের একটা লোকও কাজ জানে না।
দুই মাস আগে এক ড্রাইভারকে নিয়োগ দেয়া হলো। ময়লার গাড়ির ড্রাইভার। দুই মাসের মধ্যে সে তিনটা একসিডেন্ট করেছে। তার মর্টালিটি রেট ভালো। তিন একসিডেন্টে মরেছে দুইজন। সাকিব আল হাসানও তিন বলে দুই উইকেট ফেলতে পারে না। ড্রাইভারটি এই দিক থেকে বেশ দক্ষ।
ঘটনার পর মোখলেস সাহেব ড্রাইভারকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। কাহিনী কি কও তো? তুমি না বাস চালাইতা? এত একসিডেন্ট করো ক্যা? তারপর একজন সাংবাদিক মরছে। এখন তো আমার চাকরি নিয়া টানাটানি।
একটু চাপাচাপি করতে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে এলো। এই ড্রাইভার কোনোদিন বাসটাস চালায়নি। সে চালাতো ট্রলার--আরিচা পাটুরিয়া রুটে। চাকরির জন্য সে মিথ্যা কথা বলেছিলো। সিটি কর্পোরেশনে তো ট্রলার চালানোর কোনো পোস্ট ছিলো না, তো সে কী করবে, ড্রাইভারির জন্য এপ্লাই করেছে।
ড্রাইভার মাথা চুলকে সরল স্বীকারোত্তি দিলো, স্যার, ভাবছিলাম পানিতে যেহেতু চালাইতে পারি, রোডে ঘাডে সমস্যা হইবো না। আমারে একটু টাইম দ্যান, আমি শিখা লমু।
মোখলেসুর সাহেব একেবারে অবুঝ নন। তিনি ড্রাইভারকে একটা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। ড্রাইভিং না জানা ড্রাইভার আশেপাশে রাখা মোটেও নিরাপদ না। নইলে দেখা যাবে, এই ব্যাটা কবে ময়লার গাড়ির তলে তাকে অথবা আল্লাহ না করুক মেয়র সাহেবকেই ফেলে দিছে।
দুঃখের বিষয়, এদের সবারই নিয়োগ হয়েছে তাঁর তথা মেয়র সাহেবের হাত ধরে।"

জবাবে ভক্তদের প্রায় সবাই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে শুভকামনা জানিয়েছেন। মাহাফুজ রহমান নামে একজন লিখেছেন, "ট্রেন টু ঢাকা শিরোনামে এমন একটি বাস্তবধর্মী উপন্যাস আশা করি সবার কাছে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসবে। অপেক্ষায় রইলাম পুরো উপন্যাসটি পড়ার জন্য!"

হয়ত আগামী একুশের বই মেলাতেই পাঠকের হাতে আসতে পরে বইটি।

মন্তব্য করুন:

সম্পর্কিত খবর