ঢাকাসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের দাপট আরও বেড়েছে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীতের তীব্রতা এখনই কমছে না। সামনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে এবং আগামী ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রংপুর বিভাগের আট জেলা এবং রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ ও কুষ্টিয়া-সবমিলিয়ে
ঢাকাসহ সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের দাপট আরও বেড়েছে। এরসঙ্গে যোগ হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শীতের তীব্রতা এখনই কমছে না। সামনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে এবং আগামী ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত কুয়াশা থাকবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, রংপুর বিভাগের আট জেলা এবং রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, নওগাঁ ও কুষ্টিয়া-সবমিলিয়ে দেশের ১৩ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ এসব জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচে। এরমধ্যে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি। এদিন দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাবনা ও কুষ্টিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এদিন দেশের তৃতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকায়ও শীত বেড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গতকাল ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ওদিকে আবহাওয়ার জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের পশ্চিম, উত্তর ও উত্তরপূর্বাঞ্চলে এক থেকে দুটি মাঝারি থেকে তীব্র এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় দুই থেকে তিনটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় ৪ঠা ও ৫ই জানুয়ারি অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
ওদিকে শীত আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে। আগামী ৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা থাকবে। সেক্ষেত্রে কুয়াশা থাকলে শীতও থাকবে। কুয়াশা কমে গেলে শীতের তীব্রতাও কমবে বলেও জানান তিনি। সংস্থাটির আরেক আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেছেন, জানুয়ারি শীতের মাস, ঠাণ্ডা কমার সুযোগ নাই। সামনে আরও বাড়তে পারে। কখনো সূর্য উঠলে ঠাণ্ডা কম লাগবে, তারপর রোদ চলে গেলে আবার বাড়বে এমনই চলতে থাকবে।
কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, শনিবার ঢাকা, বরিশাল, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলার আকাশ ঘন থেকে খুবই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। এদিন প্রায় সারাদিন বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের বেশির ভাগ জেলার ওপরে সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ঢাকা বিভাগের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের জেলাগুলোর ওপরেও সূর্যের আলো দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
মন্তব্য করুন: