বাংলাদেশের সমুদ্র নিরাপত্তা ও উপকূলীয় এলাকায় জরুরি সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে ৬২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দেবে দক্ষিণ কোরিয়া। মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়া এক্সিম ব্যাংক।
চুক্তি অনুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলে নতুন বাতিঘর, রেডিও স্টেশন ও ঢাকায় একটি নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। একই সঙ্গে পুরোনো বাতিঘরগুলো সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হবে। নৌপরিবহণ অধিদপ্তর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ এবং কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের মহাপরিচালক কিম কিসাং এ চুক্তিতে সই করেন।
ইআরডি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় এলাকায় সাতটি নতুন বাতিঘর ও রেডিও স্টেশন তৈরি করা হবে। এর পাশাপাশি ঢাকায় তৈরি হবে একটি আধুনিক নিয়ন্ত্রণকক্ষ, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা যাবে চলমান নৌযানগুলোর সঙ্গে।
এর আগে প্রকল্পটির জন্য ৩ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের একটি মূল চুক্তি হয়েছিল। এবার সেই চুক্তির পরিপূরক হিসেবে আরও অর্থ সহায়তা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। এতে করে প্রকল্পের মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়াল প্রায় ৬৩ কোটি ডলার।
চুক্তি অনুযায়ী, ঋণের সুদ হবে মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ। এই অর্থ ফেরত দিতে সময় পাওয়া যাবে ৪০ বছর ৫ মাস, যার মধ্যে প্রথম ১৫ বছর ৫ মাস কিস্তি দিতে হবে না।
১৯৯৩ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন সহায়তা দিয়ে আসছে। এবারও সহজ শর্তে বড় অঙ্কের ঋণ দেওয়ার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের সমুদ্র নিরাপত্তা খাতে বড় ভূমিকা রাখতে চলেছে।
সরকার মনে করছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমবে, জাহাজ চলাচল আরও নিরাপদ হবে এবং আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্র যোগাযোগে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়বে।
সোর্স: আমার দেশ
মন্তব্য করুন: